কাঁথি: শুভেন্দু, দিব্যেন্দুর পর এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দেখা যাবে অধিকারী পরিবারের ছোট সন্তান সৌমেন্দুকেও৷ লক্ষ্মীবারের দুপুরে এই খবর সামনে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া ভেসে এসেছে শাসকদল তৃণমূল শিবির থেকে৷ ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘বেইমান’ সহ বাছা বাছা বিশেষণ ভেসে এসেছে অধিকারী পরিবারের উদ্দেশ্য৷
২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ, শুভেন্দুর তৎকালীন ছায়াসঙ্গী আবু তাহের বলেন, ‘‘বিভিন্ন সভা সমাবেশে শুভেন্দুর মুখে শোনা যায়-অতীতকে যারা ভুলে যায়, তাদের ভবিষ্যত ভাল নয়৷’’ খানিক থেমে তাহের যোগ করেন, ‘‘শুভেন্দুর অতীত কি? ও তো নিজের অতীত ভুলে গিয়েছে৷ আসলে একটা স্বার্থপর মানুষের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটাও অন্যায়৷ তৃণমূলের ক্ষীর খেয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করল৷ বিজেপিও টের পাবে কাঁথির অধিকারী পরিবারের স্বার্থপরতা৷’’
এরপরই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন আবু তাহের৷ বলেছেন, ‘‘শুভেন্দুর ঠগবাজি, ধাপ্পাবাজি তো জেলার মানুষ চিনে ফেলেছে৷ তাই জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সবসময় ভয়ে, আতঙ্কে থাকছে৷ সেকারণেই এবার ছোট ভাই সৌমেন্দুর জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা মোতায়েন করা হল৷’’ বলেছেন, ‘‘অধিকারীদের কোনও জাত নেই৷ ওরা বেইমান, বিজেপিও সেটা টের পাবে৷’’
শুভেন্দু কিংবা তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু সরাসরি বিজেপিতে যোগ দিলেও সেজো ভাই দিব্যেন্দু কিংবা বাবা শিশিরবাবু এখনও খাতায় কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও দলবদল করেননি৷ ইতিমধ্যে শিশিরবাবুর কাছে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানও জানতে চেয়েছেন লোকসভার স্পিকার৷ শিশিরবাবু সময় চেয়ে নিয়েছেন একমাস৷ এই প্রসঙ্গেই আবু তাহের বলেন, ‘‘ন্যূনতম মনুষ্যত্ব থাকে এভাবে তৃণমূলের পদ আঁকড়ে থেকে তৃণমূলের বদনাম করতেন না৷’’