কলকাতা: টার্গেট ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন৷ রাজনৈতিক জমি তৈরি করতে তাই সময় থাকতেই কলকাতা টু ত্রিপুরা, ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিল তৃণমূল৷ রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের পর এবার ত্রিপুরা সফরে গেলেন তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল। দলে রয়েছেন ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, অপরুপা পদ্দার, অধীর রঞ্জন বিশ্বাস, পারমিতা মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন।
ব্রাত্য বলেন, ‘‘ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে আর চাইছে না৷ রাম নাম নয়, ত্রিপুরার মানুষ বিকল্প হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম নিচ্ছে, পতাকার তলে আসছে৷ তাই ভয় পেয়ে প্রতি হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি৷ পুলিশ দিয়ে মিথ্যে কেসে ফাঁসাচ্ছে৷ তবে তাতে বিশেষ লাভ হবে না৷’’ দাবি করেছেন, ‘‘ত্রিপুরার সব রাজনৈতিক দলও চায় বিজেপির হাত থেকে মুক্তি৷ তাই সিপিএম, কংগ্রেস সহ অন্যান দল থেকে নেতা, কর্মীরা তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন৷’’
তবে ত্রিপুরার মাটিতে বাম-তৃণমূল জোটের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য৷ বলেছেন, ‘‘বামেদের সঙ্গে আমাদের জোট হবে না৷ তবে ওদের দলের কোনও নেতা যদি মনে করেন তৃণমূলের পতাকা তলে এসে আন্দোলন সংগঠিত করবেন তাহলে কোনও আপত্তি নেই৷’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ত্রিপুরার মাটিতে বামেদের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই যে বিপ্লব দুর্গকে ধরাশায়ী করার স্ট্যাট্রেজি সাজাচ্ছে তৃণমূল৷ কারণ, তেইশের ভোটের আগেই এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে৷ তাই সময় থাকতেই ত্রিপুরার রাজনৈতিক জমি চষার কাজ শুরু করে দিয়েছেন জোড়াফুলের নেতারা৷ ঘন ঘন আন্দোলন সংগঠিত করার মাধ্যমেই বাম সহ অন্য দলের নেতাদের আনতে চাইছেন জোড়াফুলের পতাকা তলে৷