চাকদহ: কোথাও দল বদলের হিড়িক৷ কোথাও বা বোমাবাজি, মারধরের অভিযোগ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত৷ নদিয়া থেকে বাঁকুড়া জেলায় জেলায় উঠে আসছে এমনই খণ্ড খণ্ড চিত্র৷
নদিয়ার চাকদহ পুরসভার অন্তর্গত ১৪নম্বর ওয়ার্ডের পাবনা কলোনি এলাকায় ভোররাতে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে৷ বিজেপির সক্রিয় কর্মী অধীর মণ্ডলের বাড়ি লক্ষ্য করে ভোররাতে দুষ্কৃতীরা বোমা মারে বলে অভিযোগ৷ বিজেপি কর্মী অধীরবাবুর অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পরেও আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী৷ ভাঙচুর করে বাড়ির একাধিক জিনিসপত্র৷ আজ একই পদ্ধতিতে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাকদাহ থানার পুলিশ।
অন্যদিকে শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে ১২০ জন নেতা কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এদিন শহরের মাচানতলা আকাশ মুক্ত মঞ্চে বিজেপি ছেড়ে আসা ব্যক্তিদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা।
এদিন ঘাস ফুল শিবিরে যোগ দিয়ে ত্রিদিব রুইদাস বলেন, নিয়ম শৃঙ্খলা বিহীন একটি দলের নাম বিজেপি। রাজ্যে ওই দলের ১৮ জন সাংসদ সাধারণ, গরিব, মধ্যবিত্ত মানুষের পাশে দাঁড়াননি। করোনাকালেও তাদের দেখা মেলেনি। এমনকি একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাও বেচে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। এই অবস্থায় মানুষের পাশে তৃণমূল নেত্রী। তাই উন্নয়ণের কাণ্ডারীর পাশে দাঁড়াতেই এই দলবদল বলে তিনি জানান। জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিজেপির প্রথম সারির বেশ কিছু নেতৃত্ব তাদের দলে যোগ দিলেন।ফলে এলাকায় বিজেপির শক্তি আর ক্ষয়িষ্ণু আকার নিল৷