ফের নিজেদের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হল বিজেপির

ফের নিজেদের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হল বিজেপির

 

বাঁকুড়া: বিধানসভা নির্বাচন শেষে সারেঙ্গার বিক্রমপুরের পর ফের আরও একটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল পদ্মশিবিরের। বাঁকুড়া-২ ব্লকের মানকানালী পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল শাসক শিবির।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫ আসন বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েত ৮ টি আসন বিজেপি, তৃণমূল পায় ৭ টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিজেপি বোর্ড গঠন করে ও প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির ত্রিবেনী বাউড়ি। পরে বিধানসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ছবিটা দ্রুত বদলাতে থাকে। গত ১৯ জুলাই মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি সদস্যা ফুলমনী হেমব্রম ও চিন্তামনী ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে বিজেপি। গত ৪ আগষ্ট তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ভোটাভুটি হলে তৃণমূলের পক্ষে ৯ টি ও বিজেপির পক্ষে ৬ টি ভোট পড়ে।

এদিন পঞ্চায়েতের পদাধিকারী নির্বাচনে নতুন প্রধান নির্বাচিত হন চায়না ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির প্রধান আমাদের অন্ধকারে রেখে কাজ করছিলেন। এবার ‘দিদি’র দেখানো পথেই আমরা পঞ্চায়েত পরিচালনা করব৷’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিজেপির পতাকা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে দলে দলে মানুষ তৃমমূলের পতাকাতলে আসছেন। ভালো লাগছে মানকানালী পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই মানুষ তাদের দলে আসছেন বলে তিনি দাবি করেন।

স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘প্রলোভনে’ পা দিয়েই তাদের দলের টিকিটে নির্বাচিত সদস্যরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। তবে আগামী নির্বাচনে তারা ফের এই পঞ্চায়েত দখল করবেন বলে তিনি জানান।   এদিন মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে আসার পর আনন্দোৎসবে মেতে ওঠেন দলের নেতা কর্মীরা। সঙ্গে চলে দেদার আবির খেলাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − two =