অধিকারীরা বিদায় হতেই পুরসভার খরচ কমেছে: পুর প্রশাসক

অধিকারীরা বিদায় হতেই পুরসভার খরচ কমেছে: পুর প্রশাসক

056654fc1af56125a0c33c9ee2f6c889

কাঁথি: পুরসভা অফিসকে রীতিমতো নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল কাঁথির অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি৷

অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কাঁথির অধিকারী পরিবার বিগত দিনে প্রশাসনিক ভবনকে দলীয় কার্যালয় ও নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতেন। অধিক রাত পর্যন্ত কাঁথি পুরসভা প্রশাসনিক ভবন খোলা রাখতেন। এখান থেকেই দলীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। অধিক রাত পর্যন্ত প্রশাসনিক দফতর খোলা থাকার কারণে পুরসভার খরচ কার্যত বৃদ্ধি পেত। শুধু তাই নয় ইলেকট্রিক বিল অনেক ব্যয়বহুল হত। এখন অনেকটাই কম আসছে।’’

তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘কাঁথি পুরসভার সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পৌরসভার নিজেদের জন্য রুম বরাদ্দ থাকত। গভীর রাত পর্যন্ত এই রুমে এসে বসতেন তাঁরা৷ এর ফলে পুরসভা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হত। এখন এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতেই পৌরসভা লাভবান হচ্ছে।’’

তাদের বরাদ্দ রুম এখন পুরসভার প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেন কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি। যদিও কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী কাঁথি পুরসভার যে রুমে বসতেন তা এখনও তালাচাবি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। যদিও এবিষয়ে অধিকারী পরিবারের কোন সদস্যের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *