নিউ ইয়র্ক: ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর নতুন করোনা স্ট্রেন আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমেরিকাতেও। ভাইরাসের নতুন এই স্ট্রেন আগের বারের চেয়ে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। হোয়াইট হাউসের করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্স ইতিমধ্যেই এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, করোনার এই নতুন স্ট্রেন সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ব্রিটেনের চেয়েও আমেরিকায় এই স্ট্রেনের প্রভাব ৫০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আমেরিকায় সম্প্রতি সংক্রমণ ফের দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করেছে। পাল্লা দিয়ে মৃত্যু মিছিলও বাড়ছে। নতুন স্ট্রেনের কারণেই সংক্রমণ এ মৃত্যু বাড়ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কলোরাডোর দুই তরুণের শরীরে করোনার এই নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে আশ্বর্ষের বিষয় হল ওই দুই তরুণ কখনও ব্রিটেনে যাননি। সেই কারণেই তাঁদের শরীরে ওই স্ট্রেনের উপস্থিতি ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাঁর মনে করছেন আগেই আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছে ব্রিটেনে খুঁজে পাওয়া করোনার এই নতুন স্ট্রেন।
এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে লকডাউনের পথে গিয়েছে ব্রিটেন। লকডাউন আরও জোরদার করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। বরিস জনসনের সরকার ইংল্যান্ডের ৫৬ মিলিয়ন মানুষের জন্য সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে, যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডিসেম্বর শেষে একদিনে ৮০ হাজার নতুন সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল ব্রিটেনে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তর মাঝে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এও বলা হয়েছিল যদি এখনই ব্যবস্থা না করা হয় তবে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা আক্রান্ত হবে। আমেরিকা এখনও লকডাউনে যাওয়ার কথা না ভাবলেও করোনা বিধি আরও বেশি করে মেনে চলার নির্দেশ জারি হয়েছে। মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক যেন মুখের সঙ্গে ঠিকমতো আঁটসাঁট হয়ে বসে থাকে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।