সাপ কখন ছোবল মারে? নিজের বাসভবন পৌঁছে বললেন মন্ত্রী সুভাষ

সাপ কখন ছোবল মারে? নিজের বাসভবন পৌঁছে বললেন মন্ত্রী সুভাষ

66c708e0eecf972614d4b258a697aea8

বাঁকুড়া:  ‘সাপ যখন ভয় পায় তখন ছোবল মারে’। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের নিজের বাসভবন থেকে দলের শহিদ সম্মাণ যাত্রায় অংশ নিতে বেরোনোর মুখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসক দলকে ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল বিজেপি ও সাধারণ মানুষকে এতটাই ভয় পেয়েছে যে নানান ‘ভাঁওতার প্রকল্প’ আসছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে এক ছাত্রও উপকৃত হবেনা। পুরো ‘ভুলে ভরা’ এই প্রকল্প বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার দাবি করেন।

ডাঃ সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে ‘শহীদ সম্মাণ যাত্রা’ এদিন  বাঁকুড়া শহরে শুরু হয়ে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া শহর, বলরামপুর, ঝিলিমিলি, বেলপাহাড়ি, বিনপুর হয়ে এদিন ঝাড়গ্রামে শেষ হবে বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ১ মাস ১৪ দিন পর,  বুধবার নিজের সংসদীয় এলাকায় পা রাখলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক ডাঃ সুভাষ সরকার। বুধবার রাত প্রায় দশটা নাগাদ দলের ‘শহীদ সম্মাণ যাত্রা’র প্রতিনিধি হিসেবে এই জেলায় পৌঁছান তিনি।

বাঁকুড়া শহরে পৌঁছেই সোজা চলে যান নতুনগঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে। দীর্ঘদিন পর দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সরকারকে কাছে পেয়ে উল্লসিত বিজেপি নেতা কর্মীর। দলের তরফে তাঁকে সম্বর্ধণা জানানোর পাশাপাশি চলে দেদার মিষ্টি মুখ। এমনকি বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়ে দেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী ডাঃ সুভাষ সরকারকে।

পরে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়াটাকে আমি আমার কর্তব্য বলে মনে করেছি। আর ঐ কর্তব্য পালনের মাঝেই ওখানে থাকতে থাকতেই আমি ভাবতে শুরু করেছি বাঁকুড়ার জন্য কি কি করা যায়। তবে বাঁকুড়ার জন্য, নিজের সংসদীয় এলাকার জন্য ঠিক কি করবেন এখনই খোলসা করতে রাজী নন জানিয়ে বলেন, হল্ট স্টেশনের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে, তবে এই কাজে রাজ্যের সহযোগিতা ও সদর্থক ভূমিকা পালন জরুরি। তাই বাঁকুড়ার মাটিতে পা দিয়েই রাজ্যকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো ‘প্রচার সর্বস্ব’ নয়, সত্যিকারের উন্নয়নমুখী কাজ দরকার বলে তিনি মনে করেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *