কলকাতা: সিপিএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসের পাশে দাঁডালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় লেখা নিবন্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন অজন্তা। তারই জেরে দলের তরফে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে অনিল কন্যাকে৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে কুণাল ঘোষ নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সিপিএমের ‘শ্রাদ্ধ’ করেছেন তাতে অজন্তা বিশ্বাসের তৃণমূল যোগ নিয়েও নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে৷ যদিও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অজন্তা৷ ফলে বাড়ছে জল্পনার পারদও৷
অনিল কন্যাকে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ টুইট করে লিখেছেন, “জাগো বাংলায় লেখার জন্য অজন্তা বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করল CPM। অথচ ২০০৮ সাল থেকে যাঁরা দলকে ডোবাল, যাঁরা দলকে শূন্যতে নামাল, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেই।” এরপরই রীতিমতো ‘কমরেড’দের ব্যাঙ্গ করে কুণালের শ্লেষোক্তি, ‘‘অজন্তাকে শাস্তি দেওয়ার নামে কিছু অপরিচিত, অপ্রাসঙ্গিক নেতা নিজের প্রচার চাইছেন। শাস্তি দিয়ে মন পাওয়া যায় না কমরেড… শূন্য থেকে মহাশূন্যের পথে।”
শেষের মন্তব্যটির মাধ্যমে কুণাল যে বামেদের ক্ষয়িষ্ণু দশা প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছেন তাও স্পষ্ট৷ কারণ, একুশের নির্বাচনে বিধানসভায় একেবারে শূন্যতে এসে ঠেকেছে বামেরা৷ প্রসঙ্গত, অজন্তার লেখাতেও কিন্তু মমতার প্রশংসা করতে গিয়ে সিঙ্গুর আন্দোলনটিকে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বলে অভিহিন করা হয়েছিল৷ এমনকি দলের তরফে সাসপেন্ড করার পরও এবিষয়ে অজন্তা সরাসরি কখনই বলেননি তিনি ভুল লিখেছেন৷ শুধু জানিয়েছিলেন, ‘‘ভবিষ্যতে এমন আর হবে না৷’’ স্বভাবতই বাড়ছে জল্পনা৷ তৃণমূলের প্রথমসারির এক নেতার কথায়, ‘‘অজন্তা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকর্মে অনুরক্ত তা তাঁর লেখনী থেকেই স্পষ্ট৷ ফলে অদূর ভবিষ্যতে অজন্তা তৃণমূলে যোগ দিলে চমকে ওঠার কিছু নেই৷’’