নদিয়া: ‘এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি?’ এটা জানতে চাওয়ার পরিণাম যে মৃত্যু হবে তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি সুখচাঁদ সর্দার (৫৫)৷ বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার জোয়ানিয়া শর্ট ডাঙা এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই গুণধর ছেলে নকুল সর্দার (১৮) পলাতক৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ জেরা করা হচ্ছে মৃত সুখচাঁদের স্ত্রীকেও৷
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুখচাঁদ পেশায় জনমজুর৷ প্রতিদিনের মত শনিবারও দিনভর মাঠে কাজ সেরে বাড়িতে ফিরেছিলেন৷ ইদানিং রাত করে বাড়ি ফিরত নকুল৷ নকুল বদসঙ্গে মিশছে বলে মাঝে মধ্যেই স্ত্রীর কাছে সুখচাঁদ সন্দেহও প্রকাশ করতেন৷ জানা যায়, শনিবার অনেক রাতে ছেলে ফিরে এলে, জনমজুর বাবা জানতে চান, ‘এতক্ষণ কোথায় ছিলি?’’ অভিযোগ, এরপরই ঘরে থাকা বাঁশ দিয়ে ক্রমাগত বাবার মাথায় মারতে থাকে গুণধর ছেলে৷
চিৎকার চেণঁচামেচিতে নকুল লাঠি ফেলে পালায়৷ প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত সুখচাঁদকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা জানান, অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ তবে অভিযুক্ত ছেলে নকুল পলাতক। মৃতর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুণধর ছেলের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নকুল নেশাগ্রস্ত ছিল৷ তারই জেরে সে বাবাকে খুন করে ফেলে থাকতে পারে৷ যদিও এবিষয়ে সুখচাঁদের স্ত্রীর প্রশ্রয় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ৷ এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘তদন্তে সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’