শুভেন্দুর অপসারণ, কেন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বললেন অখিল পুত্র

শুভেন্দুর অপসারণ, কেন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বললেন অখিল পুত্র

47c60d5b3adc4ae69c73cbecc812a8c5

কাঁথি: কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ৷ বহুল ব্যবহারে জীর্ণ এই প্রবাদই ফের সামনে এল৷ সৌজন্যে, কাঁথি কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর অপসারণ৷

এদিনই ডিরেক্টরদের বৈঠকে শুভেন্দুকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করেছেন কো অপারেটিভের অন্য ডিরেক্টররা৷ সেই প্রসঙ্গ টেনেই কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির দাবি, ‘‘এটা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কাঁথি কো -অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডাইরেক্টার সাধুবাদ জানাই।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূলের কংগ্রেসের প্যানেলে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডাইরেক্টরা। পরবর্তী কালে ডাইরেক্টরা শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু উনি তো এখন বিজেপিতে৷ ফলে তৃণমূলের বোর্ডে সভাপতি থাকবেন বিজেপির লোক। এটা কোনও মতে হতে পারে না। তাই বলছি, এটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত৷’’

তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর মুখে অনেক নীতি আদর্শের কথা শুনতে পাই। অনাস্থা প্রস্তাবে অংশগ্রহণ না করেই আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। শুভেন্দু পদের জন্য সব জায়গায় ছুটে বেড়ান। কিন্তু ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ছাড়তে পারেননি। ব্যাংকের কাজকর্ম তলানিতে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাংকের টিকে থাকার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপরও পদ টিকিয়ে রাখথে পারলেন না৷ কাঁথির বুকে এটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত৷’’

রাজ্যে পালা বদলের পর থেকে অর্থাৎ সেই ২০১১ সালের পর থেকে টানা ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় ইউনিয়ন এবং ব্যাংকের পদে ছিলেন শুভেন্দু৷ সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য৷ তারপরই প্রথমে সমবায় পরে কো-অপারেটিভের পদও খোয়াতে হল শুভেন্দুকে৷  স্বাভাবিকভাবেই নিজের খাসতালুকে শুভেন্দুর এই অপসারণকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷ যদিও এবিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর দাবি, ‘‘পুরোটাই অবৈধভাবে হয়েছে৷ আমি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *