বাঁকুড়া: ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার শ্যাম মুখোপাধ্যায়’। দাবি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের। পুরসভার টেণ্ডার দূর্ণীতি কাণ্ডে পুলিশি হেফাজতে থাকা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার বিষ্ণুপুর থানায় আসেন সৌমিত্র খাঁ।
তাঁর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্যামবাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। ২০১১ সালে ওনার সহযোগীতায় এম.এল.এ হয়েছিলাম।’ একই সঙ্গে ওনার ‘শরীরের অবস্থা খুব খারাপ’ জানিয়ে বলেন, উনি ‘পলিটিক্যালি হ্যাকেল’ হয়েছেন। এভাবে একজন ‘সিনিয়র সিটিজেন’কে গ্রেফতার না করে নোটিশ করে তদন্ত করলেই ভাল হতো। যেভাবে ‘নির্যাতন’ করা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায়না বলেও তিনি দাবি করেন।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘উনি তো তৃণমূলেই আছেন। নিজের মুখেও সেকথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও আইনি লড়াইতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে তিনি সহযোগিতা করবেন বলেও সৌমিত্র খাঁ স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এদিন দুপুর ১২ টা ৪৫ নাগাদ বিষ্ণুপুর থানায় এসে পৌঁছান বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। থানার মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তিনি পুলিশি হেফাজতে থাকা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন ও কথা বলেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি সাংসদের দেখা করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এই সাক্ষাৎকার শুধুই ‘সৌজন্যমূলক’ নাকি এর পিছনে কোন কারণ রয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আর ‘দেখা করা’ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, সৌমিত্র খাঁ এর বিজেপি দূর্ণীতিগ্রস্ত দল। পুলিশী তদন্তে অনেকের নাম উঠে আসছে। তাদের ও নিজের দলকে বাঁচাতেই সৌমিত্র খাঁ থানায় এসেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।