কলকাতা: গোটা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল পশ্চিমবঙ্গ৷ হেতু ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প৷ রাজ্যকে এই খবর চিঠি লিখে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রক৷ সাধারণত জিও ট্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়।
২০১৫-২০১৬ থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়৷ এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছে৷ এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৩৩ শতাংশ টাকা পায় রাজ্য৷ বাকি টাকাটা রাজ্যের ভাঁড়ার থেকেই খরচ হয়৷ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, ‘এটি খুব গর্বের কথা। ১০০ দিনের কাজ ছাড়াও এবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পও কেন্দ্রে প্রশংসিত হল।’ কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে। শুধু ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পই নয়, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি নিজস্ব কিছু প্রকল্প জাতীয় স্তরে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রশংসায় মুখর হল মোদি সরকার।
সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই শহরাঞ্চলে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পটি চালু করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের মাথার ওপরই যাতে ছাদ থাকে, সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। গ্রাম বাংলায় এই প্রকল্পকে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ নাম দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের দায়িত্ব রয়েছে পঞ্চায়েত দফতরের ওপর৷ তবে শহরাঞ্চলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দায়িত্ব পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ওপর বর্তেছে। বাংলা আবাস যোজনার আওতায় আবাসন প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ পরিবারের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ তৈরি করাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।