কলকাতা: ‘পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষার জন্য সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত৷ সেখানে রাজ্যে শিক্ষিকাদের কী দুরবস্থা! বিষ খেতে হচ্ছে৷ অমানবিক ঘটনা৷ কমপক্ষে একটু সহমর্মিতা দেখানো উচিত৷ তৃণমূলের নেতারা তালিবানের মতো ব্যবহার করছে৷ মানুষ ক্ষমা করবে না৷’ বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ শিক্ষিকার বিষ খেয়ে আত্যহত্মার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য দিলীপ ঘোষের৷
রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘উনি হয়তো জানেন না যে, ওখানে সিপিএম বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছিল৷ আদালত তাঁদের তাড়িয়ে দিতে বলেছিল৷ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আদালতের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রত্যেককে চাকরিতে রেখেছেন মানবিকতার খাতিরে৷ স্ট্যাটাস না পেলেও তাঁরা বেতন পাচ্ছেন, তাঁরা পড়াচ্ছেন৷ আর এখানে মহিলা শিক্ষিকারা আত্মহত্যা করছেন৷’’ দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষার জন্য সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত৷ সেখানে শিক্ষকদের কী দূরবস্থা৷ বিষ খেতে হচ্ছে৷ অমানবিক ঘটনা৷ কমপক্ষে একটু সহমর্মিতা দেখানো উচিত৷ তৃণমূলের নেতারা তালিবানের মতো ব্যবহার করছেন৷ অমানবিক কথা বলছেন৷ মানুষ তাঁদের ক্ষমতা করবে না৷’’
এর প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দিলীপবাবু প্রতিনিয়ত প্রলাপ বকেন৷ বিষয়টা হল শিক্ষিকারা ওই ভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বাকি সবাই তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে৷ ব্রাত্য বসু বলেছেন এটা অযৌক্তিক৷ যাঁদের বেতন ছিল ৫,৪০০ টাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় তা ১০ হাজারের উপরে৷ সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে আস্তে আস্তে একটি জায়গায় আনা হচ্ছে৷ সেই সময় যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ কেউ যদি এই কাজটা করেন, তাতে শিক্ষামন্ত্রী রাজনীতি বলে থাকলে দোষ কোথায়?’’ তিনি আরও বলেন, দিলীপ ঘোষকে বলব আমাদের তালিবান বলায় আগে মনে রাখবেন, ত্রিপুরায় তাঁর দলের বিধায়ক অরুণ ভৌমিক বলেছেন, বিমানবন্দরে তৃণমূলের নেতাদের তালিবানি কায়দায় হামলা করুন৷