বারাসত: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অশোকনগর পৌরসভার পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে ভ্যাক্সিনেশনের উদ্যোগ। যে সমস্ত মানুষ আগে আধার কার্ড পুরসভায় জমা দিয়েছিলেন তাদের মধ্য থেকেই পুরসভার পক্ষ থেকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হচ্ছে এবং কুপন দিয়ে নাম্বারিং সিস্টেমে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন।
তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে পুজোর পরে৷ তাই আগে ভাগে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন অশোকনগর পৌরসভার পক্ষ থেকে। সকাল থেকেই অশোকনগর শহিদ সদন প্রেক্ষাগৃহের সামনে সাধারণ মানুষের ভিড়। অশোকনগর পৌরসভার উপ পৌর মুখ্য প্রশাসক অতীশ সরকার জানান, তৃতীয় ঢেউয়ের একটা আশঙ্কা রয়েছে৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সাধারণ মানুষের কথা ভেবে অশোকনগরের পৌর এলাকায় তিনটি সেন্টার থেকে প্রতিদিন ভ্যাক্সিনেশনের কাজ চলছে। প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে৷ এভাবে আর কিছুদিন চালাতে পারলে পৌর এলাকার প্রায় সব মানুষের ভ্যাক্সিনেশনের কাজ সম্পন্ন হবে।
স্বভাবতই, পুরসভার উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারা৷ তাঁরা বলছেন, আমরা কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম ভ্যাকসিনের জন্য৷ তারপর বাকি কাজ পুরসভার পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে৷ অশোকনগরের গৃহবধূ সঞ্জিতা মণ্ডল, দীপালী সাহা, অনামিকা দত্তরা বলেন, ‘‘পুরসভার তৎপরতায় আমরা নির্দিষ্ট সময়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছি৷ অন্য এলাকার মতো ঝামেলা হচ্ছে না৷’’ যদিও রাজ্য পুর দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে৷ সারা রাজ্য জুড়েই ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ চলছে৷ তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সিংহভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যই এই তৎপরতা৷