কলকাতা: গ্লাভস থেকে শুরু করে সিরিঞ্জ, প্যারাসিটামল থেকে শুরু ৪ ধরনের ওষুধ-ইঞ্জেকশন, কিছুই নেই। দু’মাস ধরে একটানা সঙ্কট চলছে রিজিওনাল ইন্সটিটউট অফ অপথ্যালমোলজি বা আরআইও-তে। চোখের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিয়েছে আরআইও কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়ে দিয়েছে যে ওষুধ, গ্লাভস, সিরিঞ্জ বাইরে থেকে কেনার অর্থ তাদের তহবিলে নেই। ঠিক এই কারণে জীবনদায়ী ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীরা।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে মাস কয়েক আগে শেষ বার এই ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল আরআইও-তে। তবে জানা গিয়েছিল সেই সময় পাঁচ হাজার ভায়াল ওষুধ চেয়েছিল আরআইও কিন্তু তারা পায় দেড় হাজার ভায়াল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাও শেষ হয়ে গিয়েছে। পরে আবার দশ হাজার ভায়াল ওষুধ চেয়েছিল আরআইও কর্তৃপক্ষ, কিন্তু সেই সরবরাহ সময় মত হয়নি। এখন প্রায় টানা ২ মাস ধরে চরম সঙ্কটে পড়েছে রাজ্যের চক্ষু চিকিৎসার উৎকর্ষকেন্দ্র। যদিও এই সমস্যা মূলত ২ মাসের নয়। বিগত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে ব্যাপক সমস্যার মধ্যেই পড়েছে আরআইও।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগ’? গ্রেফতার দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী
এই সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে আবার ওষুধের গুনগত মানের ব্যাপারও। কারণ কিছুদিন আগেই ওষুধের মান নিয়ে কার্যত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের বেশ কিছু ওষুধের গুণগত মান ঠিক নয়, এমনই অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল একাধিক ওষুধ সংস্থাকে শো-কজ করেছিল। রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। এই পরীক্ষার পরেই তারা মনে করেছে যে, বেশ কিছু সংস্থার ওষুধের গুণগত মান যথাযথ নয়। এরপরেই এই নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শো-কজ করা হয় সেই সব ওষুধ সংস্থাকে। জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, হাজরা চিত্তরঞ্জন সেবা সদন সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সব পরীক্ষা করার পরেই এই তথ্য সামনে এসেছে।