খেতে দেওয়া হচ্ছে না! অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

খেতে দেওয়া হচ্ছে না! অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

বোলপুর: পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে আগের থেকেও আরো বেশি জটিল হয়ে গিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। ঘেরাও করে রাখা হয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য অভিযোগ করেছেন যে তার বাড়িতে খাবার পর্যন্ত ঢুকতে দিচ্ছে না ছাত্র-ছাত্রীরা, খেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তাকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। কিছুদিন আগে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বিশ্বভারতীর উপাচার্য ঘেরাও করে রাখার নিদান দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া রাস্তায়? আজ থেকে শহরজুড়ে কড়া অভিযান

সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাতে লেখা রয়েছে, পড়ুয়ারা তার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে এবং শাকসবজি থেকে শুরু করে দুধ এবং আলুও ঢুকতে দিচ্ছে না বাড়িতে। এমনকি কাজের লোক ঢুকতে গেলে তাকেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও ছাত্র ছাত্রীদের বক্তব্য যে তারা নিজেদের মত করে উপাচার্যকে খাবার দিচ্ছেন তাই বাইরে থেকে আলাদা করে খাবার দেওয়ার কোন দরকার নেই। তবে পরিস্থিতি যে আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করছে তা বলাই বাহুল্য। পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন পুলিশের কাছ থেকে। অন্যদিকে আবার দুই জন ছাত্রী শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে। উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।

আরও পড়ুন- চন্দনার বিরহে ‘দেবদাস’ কৃষ্ণ! ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন BJP বিধায়কের দ্বিতীয় স্বামী

কিছুদিন আগেই বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট জানান, ভিসিকে বাড়িতে ঘেরাও করা হবে এবং তৃণমূল কংগ্রেস পুরো সাপোর্ট করবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যা ইচ্ছা তাই শুরু করেছেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে জঞ্জাল ভর্তি হয়ে গিয়েছে, পরিস্কার করার বালাই নেই। বিশ্বভারতী বন্ধ রেখে কোনও কাজ করা হয়নি। ভিসি পাগল আর ওঁর পাগলামিটা ছাড়াতে হবে। কী ভাবে ছাড়াতে হয় সেটা তাঁরা জানেন বলে হুঙ্কার দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *