তৃণমূলের মদতে বামেদের বিক্ষোভ! বিশ্বভারতী ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

তৃণমূলের মদতে বামেদের বিক্ষোভ! বিশ্বভারতী ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

7b114517c1fd2fbcbc2d21dc094539be

কলকাতা: বিশ্বভারতীর আন্দোলন ইস্যু নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য জুড়ে। গত ২৮ আগস্ট থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে৷ একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ (ঐক্য মঞ্চ কমিটি) এই বিক্ষোভ চালাচ্ছিল৷ এরই মাঝে সিপিএম নেত্রী ঐশী ঘোষ এবং বাদশা মৈত্র সেখানে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানায়৷ বামেদের এই বিক্ষোভ নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দাবি করলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মদতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বামেরা।

আরও পড়ুন- খাবার নষ্ট করায় নির্মম শাস্তি! ৩ বছরের শিশুর সারা গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিল মা

পড়ুয়া বিক্ষোভের জেরে আগের থেকেও আরো বেশি জটিল হয়ে গিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। ঘেরাও করে রাখা হয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য অভিযোগ করেছিলেন যে তার বাড়িতে খাবার পর্যন্ত ঢুকতে দিচ্ছে না ছাত্র-ছাত্রীরা, খেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। এই ইস্যুতে এবার দিলীপের বক্তব্য, বিশ্বভারতীতে অশান্তি করছে বামপন্থীরা। যাদের মদত দিচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তাঁর কথায়, বিশ্বভারতী বাঙালির পরিচিতি, আর এখন সেটা নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল। যারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেই সিপিএম সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, মানে রাজ্য সরকার তাঁদের সমর্থন করছে বলে দাবি করেন তিনি। দিলীপের আরও বক্তব্য, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত সবকিছুর বিরোধিতা করা স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। 

আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া রাস্তায়? আজ থেকে শহরজুড়ে কড়া অভিযান

প্রসঙ্গত গতকাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ অচলাবস্থা কাটাতে পুলিশি হস্তক্ষেপে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের হঠানোর। একই সঙ্গে খুলে দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগানো সমস্ত ব্যানার-ফেস্টুন, বলেও জানান হয়৷ সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল, উপাচার্যকে কোনও ভাবেই হেনস্থা করা যাবে না বা তার গতিবিধি আটকানো যাবে না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *