‘আগে ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচুক, তারপর আমাদের বিধায়ক নিয়ে ভাববেন’

‘আগে ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচুক, তারপর আমাদের বিধায়ক নিয়ে ভাববেন’

 

কলকাতা: ফের বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বললেন, ‘‘আমি জানি না, পঁচিশ না পঞ্চাশ। আমাদের পার্টিতে অনেক নেতা এসে বলেছিল, একশো আছে দেড়শো আছে। এসব ডায়লগ দিতে হয়! আগে তো ওনাদের বিধায়ক, সাংসদরা ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচুক। তারপর আমাদের বিধায়ক সম্পর্কে ভাববেন!’’

টানা ৯ ঘণ্টা ইডির জেরার মুখোমুখি হয়ে বাইরে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ‘‘বিজেপির ২৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন’৷ তারই প্রেক্ষিতে নাম না করে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তীব্র খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ৷ কারণ, দিলীপ শিবিরের দাবি: বিজেপিতে গিয়ে মুকুলবাবুও এমন দাবি অনেকবার করেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে৷ ‘জীবন দেবো, কিন্তু মাথা নত করব না’- রাজধানীতে দাঁড়িয়ে অভিষেকের এই উক্তিরও তীব্র কটাক্ষ করেছেন দিলীপ৷ বলেছেন, ‘‘উনি জীবন কোথায় দিচ্ছেন। জীবন নিয়ে তো পালিয়ে গেল নেতারা। ৯ঘন্টা যদি ইডি জেরা করে, তখন লোকে অনেকেই আবল তাবোল বকে। সবে তো শুরু হয়েছে। যে নেতারা ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন তাদের চেহারাই পাল্টে গিয়েছিল।’’

হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘‘এতদিন ভেবেছিল পুলিশ, সিআইডি দিয়ে চালিয়ে দেবেন৷ চমকে রেখে দেবেন, যা ইচ্ছা করবেন। ওনাদের রাজত্বকাল তো কয়লা, বালি, পাথর লুঠ আর গরু পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে৷’’ তৃণমূলের নামোল্লেখ না করে দাবি করেছেন, ‘‘একটা পার্টি অফিসিয়ালি এই কারবারগুলো করছে৷ তাদের সব নেতা জড়িত। না পুলিশ কমপ্লেন নেয়৷ এখন সিআইএসএফ দেখানো হচ্ছে।’’ বালি, কয়লা পাচার কাণ্ডে ‘ফেরার’ তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতা বিনয় মিশ্রের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দাবি করেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থা স্টেপ নিতেই ওদের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিচ্ছেন৷ এই তো সততার নমুণা৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *