স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছেছেন ইরা! বোন স্বীকার করে ক্ষোভ বুদ্ধ জায়ার

স্বেচ্ছায় এই জীবন বেছেছেন ইরা! বোন স্বীকার করে ক্ষোভ বুদ্ধ জায়ার

264861a761a688ffda9133fc171ecc15

কলকাতা: সম্প্রতি একটি খবর সামনে আসতেই চমকে যেতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু এতদিন ধরে ডানলপের ফুটপাতে বসবাস করছিলেন। দু’বছর আগে সেখানেই নিজের ‘ঘর’ বানিয়েছিলেন তিনি৷ তবে কারও থেকে এক পয়সা সাহায্য নেননি৷ এই খবর স্তম্ভিত করেছিল সকলকে। তবে এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন খোদ ইরা দেবীর দিদি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। ইরা বসুকে নিজের বোন বলে স্বীকার করে তিনি জানান, স্বেচ্ছায় এমন জীবন বেছেছেন তিনি। অবশ্য এই ব্যাপারে তিনি ক্ষোভ পর্যন্ত প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া রাস্তায়? আজ থেকে শহরজুড়ে কড়া অভিযান

ইরা দেবীকে ‘খুঁজে’ পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জীবন সম্পর্কে জানার কৌতূহল বেড়ে যায় সকলের। কেন ডানলপের এটিএম-এর কোনায় নিজেকে নিয়ে এলেন তিনি? এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার জীবন৷ আমার যা ইচ্ছা তাই করব৷’’ তবে খবরটা চাপা থাকানি৷ খবর পৌঁছয় খড়দহ পুরসভার কাছে৷ সেখান থেকে বরাহনগর থানায়৷ খবর পেয়ে সিপিএম নেতারাও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ তবে নিজের জীবন রহস্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না ইরা বসু৷ কিন্তু এখন তাঁর দিদি মীরা জানাচ্ছেন, ইরা অতি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মেধাবী ও শিক্ষিতা। দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন খড়দহ প্রিয়নাথ স্কুলে। কিন্তু এই জীবন তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন। এমনকি ইরা দেবীর একটি নিজস্ব বাড়িও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন- ‘নাক ঘষে ঘষে BJP-তে ফিরতে হবে’, দলত্যাগী তন্ময়কে তীব্র কটাক্ষ সৌমিত্রের

এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মীরা দেবী বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, উনি চাইলেই নিজের বাড়িতে ফিরে বসবাস করতে পারেন, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি ফুটপাথে থাকছেন। ইরা পরিবারের কারুর কথা কোনদিন শোনেননি, নিজের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করেছেন বলেও জানিয়েছেন মীরা দেবী। এমনকি এই বিষয়ের জন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অসম্মানিত হতে হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে বুদ্ধদেব জায়া। উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ইরা দেবী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *