‘নিয়মকানুন জানেন না’, কৃষ্ণের অভিযোগ ইস্যুতে দেবশ্রীর পাশে দিলীপ

‘নিয়মকানুন জানেন না’, কৃষ্ণের অভিযোগ ইস্যুতে দেবশ্রীর পাশে দিলীপ

54c095451ffaa8c5fda6ceec4fcf5086

কলকাতা: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রায়গঞ্জ বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। বলেছেন যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে নির্বাচনে হারাতে চেয়েছিলেন। এমনকি, এখন দল থেকে বের করে দিতে চাইছেন। স্বাভাবিকভাবেই দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলেরই বিধায়কের এমন অভিযোগ অস্বস্তি বাড়িয়েছে বিজেপি শিবিরের। তবে এই ইস্যুতে মুখ খুলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ওই বিধায়কের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন- আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন এই ব্যাপারে দিলীপ জানান, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পার্টিতে নতুন এসেছেন। তাই সমস্ত নিয়মকানুন জানেন না। আস্তে আস্তে শিখে নেবেন। এমনটাই মনে করছেন তিনি। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার আগে আরও দুই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক নাম লিখিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। তবে সেই পথেই কি হাঁটতে চলেছেন কৃষ্ণ? এই প্রশ্ন এখন বিজেপিরই অন্দরে। তাই তড়িঘড়ি এই ইস্যুতে মুখ খুলে বিবাদ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। আসলে, কৃষ্ণ কল্যাণীর বক্তব্য, দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে অসম্মান করেছেন একাধিকবার। ইসলামপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের অনুষ্ঠানে তাঁকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। এই প্রেক্ষিতে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী কিন্তু পারেননি। তাই এখন দল থেকে বের করে দিতে চাইছেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রায়গঞ্জের বিধায়ক কার্যালয়ে দেবশ্রীর ছবিও ঢেকে দিয়েছেন! একই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেছেন, তাঁর জন্যই রায়গঞ্জে বিজেপির জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং সেটাই সহ্য করতে পারছেন না দেবশ্রী। 

আরও পড়ুন- মাস্ক ছাড়া রাস্তায়? আজ থেকে শহরজুড়ে কড়া অভিযান

যদিও রায়গঞ্জের বিধায়কের বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি বলছেন, কৃষ্ণ কল্যাণী মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে গিয়েছেন। তিনি তাঁকে পছন্দ করেন না তাই জন্যই এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন। আসলে বিরোধ নাকি জেলা সভাপতির পদ নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *