রোগী মৃত্যুর পরেই অঙ্গ বিক্রি? মৃতদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ

রোগী মৃত্যুর পরেই অঙ্গ বিক্রি? মৃতদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ

119015d7d2619c272513a6ea8f631fb9

কলকাতা: করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। সেই রোগী, কাকলি সরকারের মরদেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এনআরএস-এর তিন জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে নিয়ে এই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ। তার শরীরে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন এই তিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি কাকলি সরকারের কিনা সেই বিষয়টিও নজর দেবেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। বর্তমানে কাকলি দেবীর দেহ রয়েছে সাগর দত্ত হাসপাতালে।

আরও পড়ুন- ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নেচে মনোনয়ন প্রিয়াঙ্কার,হেঁটে গেলেন শ্রীজীব

বেসরকারি এক হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি হন কাকলি দেবী। হঠাৎ তার পরিবারের কাছে ফোন আসে তার অবস্থা খারাপ। কাকলি দেবীর ভাই তৎক্ষণাৎ ওই হাসপাতালে জান। তিনি আইসিওতে ঢোকার পর তার দিদি তাকে জানান, এই হাসপাতালে দেহ পাচারের চক্র চলছে। সমস্ত মৃত রোগীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কাকলি দেবী ভাইকে এই কথার বলার সঙ্গে সঙ্গে একজন নার্স এসে কাকলি দেবীকে একটি ইনজেকশন দেন। তখনই মৃত্যু হয় কাকলি দেবী অভিযোগ তার ভাইয়ের। এর পরেই তার পরিবার ময়না তদন্তের দাবি জানায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় কাকলি দেবী মুখ দিয়ে গ্যাজলা উঠে মারা গেছেন। হাতেও তার আঘাত রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে এই ধরনের পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হবে।

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে কেন জিতবে বিজেপি? মমতাকে একহাত নিয়ে ব্যাখ্যা শুভেন্দুর

এর পরেই তার পরিবার রাজ্যের হেলথ রেগুলেটরি কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশনের চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন ওই হাসপাতাল কোন রোগী ভর্তি করতে পারবে না। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টে পরিবারের দাবি, ৩০৪ নয় ৩০২ ধারায় মামলা তদন্ত হোক। বেলঘরিয়া থানা নয়, সিআইডি বাঁ অন্য কোনো তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে এর তদন্ত করানো হোক। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট  আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *