কলকাতা: রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ৷ একদিকে সুস্মিতা দেবকে যখন রাজ্যসভায় পাঠানোর তোড়জোড় চলছে, তখন অন্যদিকে ঘটল ‘বিয়োগে’র কাহিনি৷ বুধবার আচমকাই ইস্তফা দেন অর্পিতা৷ কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সে কথা জানালেন তিনি৷
আরও পড়ুন- মমতার এজেন্ট সুফিয়ানকে সিবিআই তলব! কী কারণ
নাট্য জগত থেকে রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখা অর্পিতা ঘোষ মমতা ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ তাঁর আকষ্মিক ইস্তফায় শোরগোল রাজনৈতিক মহলে৷ তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করতে চান তিনি৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা করেও পদত্যাগপত্র দিয়ে এসেছেন অর্পিতা৷ ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে তাঁকে জিতিয়ে সংসদে পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি ঝড়ে তিনি বালুরঘাট থেকে হেরে যান৷ তবে তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি দল৷ ২০২০ সালে ফের রাজ্যসভায় পাঠানো হয় তাঁকে৷ ২০২৬ পর্যন্ত সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল অর্পিতার৷ মেয়াদ ফুরনোর আগেই তাঁর ইস্তফায় জল্পনা মাথাচাড়া দেয়৷ তবে সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে প্রকাশ্যে এল অভিষেককে লেখা তাঁর চিঠি৷
চিঠির শুরুতে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় অভিষেক, ‘‘নাটকের মঞ্চে এবং নাগরিক আন্দোলনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে আমি এই রাজনৈতিক সফর দারুণ ভাবে উপভোগ করছি। দল আমাকে কখনও লোকসভার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছে, কখনও আমাকে জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে, তেমনই আমি কাজ করেছি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও। কাজের সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’’
আরও পড়ুন- ভিন্ন ভিন্ন জ্বর! তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই ‘কাঁপুনি’ বাংলায়
তিনি আরও লিখেন, ‘‘কী ভাবে দলের জন্য কাজ করব, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর তা নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে শুরু করি। আমায় যদি বাংলায় দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আমি বেশি উৎসাহিত হব৷ আমার লক্ষ্য একদম স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের জন্য আমি কাজ করতে চাই আমি। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চাই৷ বাংলায় কাজ করতে পারলেই আমার লক্ষ্য পূরণ হবে।’’