কলকাতা: রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আজ হঠাৎ ইস্তফা দিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ৷ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি৷ কিন্তু এই পদত্যাগে অন্য কিছুর ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি মনে করছেন, অন্য রাজ্যের কাউকে সুযোগ দিতেই এই ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে! তবে এই ‘অন্য রাজ্যের লোক’ কে, তা খোলসা করে বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন- ভিন্ন ভিন্ন জ্বর! তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই ‘কাঁপুনি’ বাংলায়
দিলীপের বক্তব্য, অর্পিতা ঘোষ তাঁর দল থেকে সব কিছু পেয়েছেন। সাংসদ হয়েছেন, জেলা সভাপতি হয়েছেন, রাজ্যসভায় ছিলেন। তবে এবার ভিন রাজ্যের লোককে সুযোগ দিতে গিয়েই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এই ব্যক্তি কে, তাঁকে কি তিনি চেনেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর দিলে চাননি দিলীপ। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, সম্প্রতি সুস্মিতা দেবকে মানস ভুঁইয়ার ছাড়া আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আপাতত ‘ভিন রাজ্যের’ বলতে তাঁকেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু অর্পিতার জায়গায় কে হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না। উল্লেখ্য, অর্পিতা ঘোষ তাঁর চিঠিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখেছেন, ”তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে আমি এই রাজনৈতিক সফর দারুণ ভাবে উপভোগ করছি। দল আমাকে কখনও লোকসভার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিয়েছে, কখনও আমাকে জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে, তেমনই আমি কাজ করেছি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবেও। কাজের সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমায় যদি বাংলায় দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আমি বেশি উৎসাহিত হব৷ আমার লক্ষ্য একদম স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের জন্য আমি কাজ করতে চাই আমি। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চাই৷”
আরও পড়ুন- মমতার এজেন্ট সুফিয়ানকে সিবিআই তলব! কী কারণ
প্রসঙ্গত, নাট্য জগত থেকে রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখা অর্পিতা ঘোষ মমতা ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে তাঁকে জিতিয়ে সংসদে পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি ঝড়ে তিনি বালুরঘাট থেকে হেরে যান৷ তবে তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি দল৷ ২০২০ সালে ফের রাজ্যসভায় পাঠানো হয় তাঁকে৷ ২০২৬ পর্যন্ত সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল অর্পিতার৷