হলদিয়া: ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকে বৃহস্পতিবার ডেকেছিল সিবিআই৷ হলদিয়া পোর্ট গেস্ট হাউসে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) কর্তারা। সেখানেই সুফিয়ানের দাবি ঘিরে নয়া রাজনৈতিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷
নন্দীগ্রামের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেন, ‘‘মৃত দেবব্রত মাইতি সহ তার পরিবারের সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। স্বাভাবিক ভাবে বেচাকেনা করে বিজেপির রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।’’ যদিও বিজেপির দাবি, দেবব্রত বিজেপির সক্রিয় কর্মী৷ তৃণমূলের সংঘর্ষেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
একই সঙ্গে সুফিয়ানের দাবি, ‘‘আমি হচ্ছি মমতা ব্যানার্জির সৈনিক। স্বাভাবিকভাবে শিরদাঁড়া সোজা করে মেরুদন্ড উঁচু করে সিবিআই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমরা বাপের ব্যাটার মতোন সাহস করে সিবিআই ডাকে সাড়া দিয়েছি।’’ এরপরই নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে৷ বলেছেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের মতো মেরুদন্ড বিক্রি করে সিআইডির আবেদনে সাড়া না দিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হইনি৷ সিবিআই আধিকারিকদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি৷’’
বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ হলদিয়া গেষ্ট হাউসে হাজির হন তৃণমূল নেতা সুফিয়ান। এদিন সুফিয়ানের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম খুনের মামলায় এলাকার আরও দুই তৃণমূল নেতা শেখ তফিজুল ও শেখ সালামকে ডেকে পাঠান সিবিআই আধিকারিকরা। টানা ঘণ্টা চারেক জেরার পর বাইরে এসে সুফিয়ান বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূল করি৷ সত্যের পথে থাকি৷’’ প্রসঙ্গত সুফিয়ানকে এদিন বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গিয়েছে৷