কলকাতা: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ৷ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি৷ জানিয়েছিলেন, বাংলায় দলের হয়ে সাংগঠনিক কাজ করতে চান। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করল ঘাসফুল শিবির। ইস্তফার একদিনের মধ্যেই নতুন দায়িত্ব পেলেন অর্পিতা ঘোষ। এখন থেকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন- মমতার এজেন্ট সুফিয়ানকে সিবিআই তলব! কী কারণ
নাট্য জগত থেকে রাজনীতির দুনিয়ায় পা রাখা অর্পিতা ঘোষ মমতা ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে তাঁকে জিতিয়ে সংসদে পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি ঝড়ে তিনি বালুরঘাট থেকে হেরে যান৷ তবে তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি দল৷ ২০২০ সালে ফের রাজ্যসভায় পাঠানো হয় তাঁকে৷ ২০২৬ পর্যন্ত সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল অর্পিতার৷ কিন্তু তার আগেই হঠাৎ তিনি পদ থেকে ইস্তফা দেন যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে তাঁকে যদি বাংলায় কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি বেশি উৎসাহিত হব৷ তাঁর লক্ষ্য একদম স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে চান। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চান৷ সেইমতই দলও তাঁর অনুরোধ রাখল এবং নয়া পদ দেওয়া হল তাঁকে।
আরও পড়ুন- ভিন্ন ভিন্ন জ্বর! তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই ‘কাঁপুনি’ বাংলায়
যদিও এই ইস্যুতেও ‘অন্য কিছুর গন্ধ’ পেয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য ছিল, অর্পিতা ঘোষ তাঁর দল থেকে সব কিছু পেয়েছেন। সাংসদ হয়েছেন, জেলা সভাপতি হয়েছেন, রাজ্যসভায় ছিলেন। তবে এবার ভিন রাজ্যের লোককে সুযোগ দিতে গিয়েই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এই ব্যক্তি কে, তাঁকে কি তিনি চেনেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি দিলীপ। সম্প্রতি সুস্মিতা দেবকে মানস ভুঁইয়ার ছাড়া আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। কিন্তু অর্পিতার জায়গায় কে হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মিলছে না।