কলকাতা: শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে পুলিশ কোনও তদন্ত করতে পারে না। চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত চন্দনাকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ৷
আরও পড়ুন- বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকা, উৎসবে জলবন্দি ৮০ হাজার মানুষ
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই চর্চার অন্যতম কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন শালতোড়ার চন্দনা৷ দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা চন্দনাকে নিয়ে আগ্রহের খামতি ছিল না৷ তবে মাস খানেকের মধ্যেই তাল কাটে৷ গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে চন্দনার দ্বিতীয় বিয়ের খবরে শোরগোল পড়ে যায়৷ চন্দনা দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও কৃষ্ণ ফলাও করে সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছেন৷ এদিকে চন্দনা-কৃষ্ণর সম্পর্কের জল গড়ায় গঙ্গাজলঘাঁটি থানায়৷
স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের খবর জানাজানি হতেই কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রূম্পা কুন্ডু গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তিনি জানান, চন্দনা বাউরির সঙ্গে তাঁর স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে চন্দনার বিয়েও হয়ে গিয়েছে৷ আপাতত কৃষ্ণ নিখোঁজ এবং তাঁর আলমারি থেকে অনেক কিছু লোপাট হয়ে গিয়েছে।
এই মামলায় গত ২৩ অগাস্ট চন্দনাকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়৷ ২ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে বিজেপি বিধায়ক। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষীকে হুমকির দেওয়ার অভিযোগ আনে পুলিশ। হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করেন বিধায়ক। বিচারপতি কৌশিক চন্দ তাঁর বিরুদ্ধে চলা একাধিক মামলায় ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে জারি শিশু মৃত্যুর মিছিল! মালদহে জ্বরের বলি আরও ২, আক্রান্ত বহু
এদিকে চন্দনার আইনজীবী বলেন, চন্দনা বাউড়ি ভোটে জেতার পর থেকেই তাঁকে নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল যাতে তিনি রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করেন৷ সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে৷ একটি এফআইআর-ও করা হয়েছে৷ এই এফআইআর করেছেন কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী৷ তাঁর বিরুদ্ধে ৪৯৮ এ, ৪৯৪, ৪০৬ এবং ৫০৬ ধারা আনা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী বিচ্ছেদ না হলে, স্বামী বা স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় না৷ এটি একটি নন কগনিজেবল অফেন্স৷ যার তদন্ত পুলিশ করতে পারে না৷ আজ আদালত এই মামলায় ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছে৷