লাদাখ: গত বছর করোনা আবহেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভারতের উত্তর সীমান্ত। চিনের লাল ফৌজের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন সেনা। কিন্তু ভারতের পাল্টা আক্রমণে চিনের তরফে কী ক্ষতি হয়েছিল তার পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনেনি বেজিং। বরং কোনোরকম প্রাণহানি না হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছিল লাল ফৌজের তরফে। কিন্তু গালওয়ান হামলা সম্পর্কে এবার অবশেষে সুরবদল করল চিন।
গত বছর জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন লাল ফৌজের ৪ জন সেনা, এদিন এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে চিনের সংবাদমাধ্যমে। এই প্রথম গালওয়ান সংঘর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে বেজিং। চিনা সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ( PLA) সদস্য ছিলেন ওই ৪ সেনা। এছাড়া সেদেশের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের তরফ থেকে কারাকোরাম পর্বতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর কমান্ডারের প্রাণঘাতের কথা স্বীকার করা হয়েছে।
নিহত কমান্ডার কি ফাবাওকে “সীমান্তরক্ষার জন্য হিরো রেজিমেন্টাল কমান্ডার”-এর সম্মানে ভূষিত করেছে চিনা সেনাবাহিনী (Chinese Military Camp)। এছাড়া নিহত বাকি ৪ জন সেনাকেও দেওয়া হয়েছে যোগ্য সম্মান। গ্লোবাল টাইমসের রিপোর্টে ভারতের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, লাল ফৌজের সেনাদের উপর পাথর, স্টিলের রড এবং মুগুর দিয়ে আক্রমণ হেনেছে ভারত।
তবে চিনের সংবাদমাধ্যম যাই বলুক না কেন, গত জুন মাসের গালওয়ান সংঘর্ষে লাল ফৌজের প্রাণহানির সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সম্প্রতি রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থা ওই সংঘর্ষে ৪৫ জন চিনা সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, “২০২০-র মে এবং জুন মাসে চিন ও ভারতের সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় এবং ৪৫ জন চৈনিক সেনার মৃত্যু হয়েছে।” চিনের অধিক প্রাণহানির দাবি করেছে ভারতও।