কাঁথি: পটাশপুরে বাঁধ ভেঙে লক্ষাধিক মানুষের প্লাবিত হওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ আচমকা তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘পটাশপুরের তাল ছিটকিনির কাছে ২৫ মিটার বাঁধ ভেঙেছে৷ বাংলায় কোনও সরকারি নেই৷ কোনও মনিটরিং নেই৷ না হলে এই বাঁধটা আটকে দেওয়া যেত৷ তিনদিন ধরে বাঁধটা একটু একটু করে ভাঙছিল৷ নো ম্যানস ল্যান্ড হয়েছিল৷ কোনও লোকই নেই৷ খুব দুঃখজনক ঘটনা৷’’
এলাকার জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সেনা চেয়ে পাঠিয়েছেন জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘‘‘রাত আড়াইটার সময় মুখ্য সচিবকে টুইট করেছি৷ পটাশপুর-১ ব্লকে প্রয়োজন হলে আর্মি নামানোর কথাও বলেছি৷ কিন্তু রাজ্যের তরফ থেকে কোনও রিপ্লাই পাইনি৷ এদিক পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তৃর্ণ এলাকার মানুষ এখনও জলবন্দী৷ তাই উদ্ধারকার্যে সেনা নামানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি৷’’
নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ এনে দাবি করেছেন, ‘‘এই সরকারের আমলে তো জেলাশাসকরাও বিরোধী দলের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পান৷ তবু রাত দেড়টার সময় জেলাশাসককে ফোন করেছিলাম৷’’ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ পটাশপুরের তালছিটকানি এলাকায় কেলেঘাইয়ের বাঁধ ভেঙে যায়৷ তারই জেরে পটাশপুর ও ভগবানপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি, এগরার বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পটাশপুরে পালপাড়া সহ একাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায়। গত কয়েকমাসে অন্তত চারবার এমন জলবন্দি দশায় নাজেহাল জেলাবাসী। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিকাশি সমস্যার জেরেই সামান্য বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়৷ তারওপর বাঁধ ভেঙে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ এদিন শুভেন্দুও সেই সুরেই দাবি করেছেন, বাংলায় কোনও সরকার নেই৷