শীতলকুচি গুলিকাণ্ড: ৬ CISF জওয়ানের বিরুদ্ধে সমন জারি

শীতলকুচি গুলিকাণ্ড: ৬ CISF জওয়ানের বিরুদ্ধে সমন জারি

c424f110d1696ebd471f75d178ab1367

কোচবিহার: বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কী ঘটনা ঘটেছিল তা কেউই ভুলতে পারেনি। ভোটগ্রহণের সময়ে গন্ডগোলের জেরে শীতলকুচির জোড়পাটকি ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালায় সিআইএসএফ, মৃত্যু হয় ৪ জনের। সেই ঘটনায় বাংলার রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। বিজেপি তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল, তৃণমূল কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে। এবার সেই ঘটনায় ৬ সিআইএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে সমন জারি করল কোচবিহার আদালত। আগামী ১৬ নভেম্বর ওই ৬ জনকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- বাবুল তৃণমূলে! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন সত্যি

শীতলকুচির ঘটনায় তদন্তে নেমে সিআইএসএফ জওয়ানদের হাজিরার নির্দেশ দেয় সিআইডি। কিন্তু একবারও তাঁদের তলবে সাড়া দেয়নি জওয়ানরা। প্রত্যেকবার কিছু না কিছু যুক্তি দেখিয়ে তলব এড়িয়েছে তাঁরা। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে মাথাভাঙা এসিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হয় সিআইডি। সেখানে বলা হয়, সিআইডির সমন মানেননি সিআইএসএফ জওয়ানরা। তাই তাদের নামে সমন জারি করা হোক। সেই প্রেক্ষিতেই ওই জওয়ানদের বিরুদ্ধে সমন জারি হল। আইন অনুযায়ী কোনও সরকারি কর্মচারি যদি আইনি নির্দেশ না মানেন তাহলে তাঁকে আদালতে হাজির করা যেতে পারে। তাই এবার যদি তাঁরা সাড়া না দেয় তাহলে ৬ মাস জেল পর্যন্ত হতে পারে! উল্লেখ্য, কোচবিহারের এসপি, মাথাভাঙার আইসিকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিআইডি। এর পাশাপাশি জিজ্ঞাসবাদের জন্য তিন বার ওই ৬ জওয়ানকে তলব করে তাঁরা। 

আরও পড়ুন- জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুরা, সমস্যা মোকাবিলায় গাইডলাইন প্রকাশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথ কেন্দ্রে এই মারাত্মক ঘটনা ঘটে। ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালায় যার ফলে ৪ ভোটারের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, সকালবেলা যখন ভোটাররা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোট দেওয়ার জন্য, তখনই তিনটি গাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীরা আসে। কিছু বলার আগেই প্রথমে তারা হাওয়ায় তিন-চারবার গুলি করেন। তাতেই দিশেহারাভাবে ভোটাররা এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করেন। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের ওপর গুলি চালায়। যদিও বাহিনীর বক্তব্য ছিল, তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। এই নিয়ে বিতর্ক এখনও বহাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *