পদ হারিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার বার্তা দিলেন দিলীপ? তুঙ্গে জল্পনা!

পদ হারিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার বার্তা দিলেন দিলীপ? তুঙ্গে জল্পনা!

09749f026a333d50ee789125cce090c9

কলকাতা: বদল হয়েছে রাজ্য সভাপতির৷ সংবর্ধনা পর্বও আপাতত মিটে গিয়েছে৷ পদাধিকার বলে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ কিন্তু এবার রাজ্যে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছিল দলের অন্দরে তো বটেই রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের মধ্যেও৷

বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে সেটাই খোলসা করেছেন সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি৷ বলেছেন, “আমি অ্যাভেলেবেল আছি। রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যেভাবে আমাকে কাজে লাগাবেন আমি থাকব। একইভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবেন সেইভাবে কাজ করব।” পরক্ষণেই দিলীপ কন্ঠে শোনা গিয়েছে, “এবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে বেশী সময় দিতে চাই। প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বে থাকায় সারারাজ্য ঘুরতে হত৷ তাই মেদিনীপুরে বেশী সময় দেওয়া হত না। সেখানে বন্যা হয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রাণের কাজ শুরু করেছি। যাচ্ছিও৷”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন: নয়া সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদটি আদতে আলঙ্করিক৷ দেখতে অনেক বড় হলেও কার্যক্ষেত্রে নেই বিশেষ কোনও ভূমিকা৷ স্বভাবতই চর্চা শুরু হয়েছে তবে কি এবার নিজেকে গুটিয়ে নেবেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি। ওই মহলের মতে, জল্পনা যে নিতান্তই মনগড়া ছিল না, সেটা এদিন আবারও সেই ইঙ্গিতই মিলেছে দিলীপ-বচনে৷

‘নিজের কেন্দ্রে অর্থাৎ মেদিনীপুরের দিকে মন দিতে চাই’ এই কথাতেই সেই প্রশ্নটা ফের ঘুরে ফিরে আসছে। একুশের ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল দিলীপের পদ নিয়ে। দলীয় কর্মীদের একাংশের মতে, দিলীপের অতি আক্রমণাত্মক মানসিকতার জন্যই হেরেছে বিজেপি। তারই জেরে সময়ের আগে দিলীপবাবুকে পদ থেকে অপসারিত করা হল কি না, তা নিয়েও চলছে দলের ভিতরে-বাইরে আলোচনা৷ এরই মাঝে আপাতত ধীরে ধীরে নিজেকে গুটি নেওয়ার বার্তা সামনে আসায় আগামীদিনে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রেই দিলীপবাবুকে বেশি দেখা যেতে পারে বলে অভিমত রাজনৈতিক পর্যবক্ষকদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *