ভ্যাকসিন বানিয়ে গোটা পৃথিবীকে রক্ষা করেছে ভারত! মানলেন মার্কিন বিজ্ঞানীও

ইতিমধ্যে বহু দেশ ভারতের কাছ থেকে করোনা টিকা কেনার আবেদন করেছে

হাউস্টন: ১৩৯ কোটির উন্নয়নশীল একটা দেশ বিশ্বজোড়া ভয়ানক অতিমারীতে মুখ থুবড়ে পড়বে, এমনটাই ভাবা হয়েছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রাথমিক পর্বে। কিন্তু ভারত যে করোনার কোপে মুখ থুবড়ে পড়েনি, বরং অতিমারী মোকাবিলায় বাকিদের পথ দেখিয়েছে সামনে থেকে, তা মেনে নিতে হবে চরম শত্রুকেও। ২০১৯ সালের শেষ দিকে যে মারণ ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল সারা পৃথিবী জুড়ে, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যে তান্ডবলীলা চালিয়েছে সে বিশ্বের তাবড় দেশগুলিতে তা মোটেই সেভাবে কাবু করতে পারেনি ১৩৯ কোটির ভারতবর্ষকে। বরং করোনা মোকাবিলায় আমেরিকা, ইংল্যান্ড কিংবা ইউরোপীয় দেশগুলোর থেকে অনেক ভালো জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারত। একথা এবার স্বীকার করে নিলেন মার্কিন বিজ্ঞানীও।

বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে ভারত। আর তার ফলেই মারণ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেয়েছে গোটা পৃথিবী, এদিন এমনকি মন্তব্য করেছেন আমেরিকার এক স্বনামধন্য বিজ্ঞানী। করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় ভারতের এই অবদানকে যাতে কোনোভাবেই অবজ্ঞা করা না হয় সে বার্তাও দিয়েছেন ডঃ পিটার হোটেজ।

এদিন বেলর কলেজ অফ মেডিসিনের অন্তর্ভুক্ত ন্যাশানাল স্কুল অফ মেডিসিনের ডিন ডঃ পিটার হোটেজ একটি ওয়েব মিনারে বলেন, বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন অক্সফোর্ড এবং বিসিএমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের নির্মিত ভ্যাকসিন গোটা পৃথিবীকে রক্ষা করেছে। এর অবদান কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের প্রতি করোনা ভ্যাকসিন ভারতের উপহারস্বরূপ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বস্তুত, করোনা পরবর্তীকালে এখন ভারতকে গোটা বিশ্বের ফার্মেসি বলা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারক হিসেবে ভারতের সুনাম ছড়িয়েছে সর্বত্র। ইতিমধ্যে বহু দেশ ভারতের কাছ থেকে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ কিনেছে।

ভারতে প্রস্তুত মোট দুটি করোনা ভ্যাকসিনকে নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্য অধিকারিকরা। ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাকসিন এবং পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত কোভিশিল্ড। দেশের অভ্যন্তরেও চলছে এই দুই ভ্যাকসিনের টিকাকরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − eleven =