‘বাঁধ না করে ভাতায় খরচ করেছে’ মমতার ‘ম্যান ম্যাড’ তত্ত্ব উড়িয়ে বিঁধলেন শুভেন্দু

‘বাঁধ না করে ভাতায় খরচ করেছে’ মমতার ‘ম্যান ম্যাড’ তত্ত্ব উড়িয়ে বিঁধলেন শুভেন্দু

কলকাতা:  জল ছেড়েছে ডিভিসি৷ ঝাড়খণ্ড না বলে জল ছাড়ার জেরেই ভাসছে বাংলা৷ আরও একবার বাংলার বন্যা পরিস্থিতিতে ‘ম্যান মেড’ তত্ব তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু সেই তত্ত্ব উড়িয়ে পাল্টা তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ 

আরও পড়ুন- জল্পনার অবাসন! দেবশ্রী চৌধুরীকে কাঠগড়ায় তুলে দল ছাড়লেন BJP বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী

এদিন মমতাকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, সেচ দফতরের ব্যর্থতার জন্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ সেচ দফতের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি৷ খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য খরচ করে সরকার৷ এটাই ওদের এজেন্ডা৷’ তাঁর কথায়, সরকার স্থায়ী পরিকাঠামোয় বিশ্বাসী নয়৷ সে কারণেই বাংলায় এই বিপর্যয়৷ ডিভিসি একক সিদ্ধান্তে জল ছাড়ে না৷ সেখানে উপস্থিত থাকেল সেচ দফতরের সচিব এবং পশ্চিমাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়র৷ তাঁদের মতামত ছাড়া জল ছাড়া হয় না৷ 

শুভেন্দুর অভিযোগ, লোকসভায় বিপর্যয়ের পর রাজ্য সরকার উন্নয়নের জন্য স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ার উপর বিশ্বাস রাখে না৷ সে কারণেই উন্নয়নের খাতে বাজেট বরাদ্দ ছেঁটে ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র দেখে কোথায় বিনিয়োগ করলে ভোট পাওয়া যাবে৷ খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ভাতা দিয়ে রাজনীতি করতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী৷ এই নীতির অনিবার্য পরিণাম চোখের সামনে৷ বন্যায় ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ৷ বারবার এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে গরিব মানুষগুলোকে। সেই সঙ্গে তাঁর সাফাই, ‘‘আমি ১১ মাস সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিলাম। যার মধ্যে ৮ মাসই লকডাউনে কেটেছে। সে কারণেই কোনও প্রকল্পে টাকা খরচ করা সম্ভব হয়নি৷ 

প্রসঙ্গত, এদিন বন্যা নিয়ে ডিভিসিকে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘‘ঝাড়খণ্ড প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে৷ আসানসোলেও বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটা বেশি৷ কিন্তু আমাদের না জানিয়েই রাত ৩ টের সময় জল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ যার ফলে জলে ডুবে গিয়েছে আসানসোল৷ সেই জন্য বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতেও শোচনীয় পরিস্থিতি৷ তার উপর গতকাল ১ লক্ষ কিউসেকের উপর জল ছাড়া হয়েছে৷’’ তাঁর কথায়, ‘ঝাড়খণ্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের সামলাতে হচ্ছে৷’  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *