কলকাতা: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলিকে ব্যবহার করছে। ইডি, সিবিআই গোয়েন্দাদের ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং মন্ত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং দাবি করছে যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে। কিন্তু এই ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এমন একটি মন্তব্য করে ফেললেন যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কার্যত বলেই ফেললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের ডগায় সিবিআই লাগিয়েছে বিজেপি! রাহুলের এই মন্তব্যে এখন বিতর্কের ঝড়।
বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাহুল বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে একাধিক বিজেপি কর্মীকে হত্যা করেছে শাসক দল। প্রচুর কর্মীরা ঘরছাড়া করেছে। তৃণমূল ভেবেছিল যে এইসব করে পার পেয়ে যাবে কিন্তু এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের ডগায় সিবিআই লাগিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তিনি আদতে কিছুই করতে পারছেন না। রাহুলের ঠিক এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে কারণ তিনি এই কথা বলে কার্যত তৃণমূলের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। কারণ রাজ্যের শাসক দল স্পষ্ট দাবি করেছে, বাংলায় তাদের হারাতে না পেরে এখন প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজে লাগানো হচ্ছে। বঙ্গ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা কার্যত এটাই স্বীকার করে নিয়েছেন। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ সৌগত রায় বলছেন, এই মন্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেল যে তাঁরা আদতে সঠিক দাবি করছিলেন। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে তাদের হারাতে না পেরে এখন অন্য পথ অবলম্বন করছে।
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর একাধিক মামলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নারদ মামলা থেকে শুরু করে কয়লা কাণ্ড, চিটফান্ড মামলা, প্রত্যেক ইস্যুতেই একাধিক রাজ্যের নেতা এবং মন্ত্রীদের তলব করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নারদ মামলায় তো ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে অন্য ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখন আপাতত এই সব ক’টি ইস্যুতেই তৎপর রয়েছে সিবিআই এবং ইডি।