কলকাতা: আজ ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে তিনি জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে। এদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ এবং তিনি জেতেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে। উপনির্বাচনে শোভনদেবকেও টপকে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিকটতম বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৯৬টি ভোট। ধারে কাছে না আসতে পারলেও খাতায়-কলমে তিনি দ্বিতীয়। আর এখানেই নিজের জয় দেখছেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের এলাকায় তিনি ভোটে লড়াই করে ২৫ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। তাই এটা তাঁর জয়ের থেকে কম কিছু না। আবার এও জানিয়েছেন যে, শাসক দলের ভয়ে এবং আতঙ্কে সাধারণ মানুষ যে অতিষ্ট সেটাও আলাদা করে প্রমাণ করার কিছু নেই। প্রিয়াঙ্কার কথায়, তিনি ভবানীপুর ছাড়ছেন না, মানুষের হয়ে কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন। তবে এই ফলাফল প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভোটের দিনেও কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। দাবি করেছিলেন, ১২৬ নম্বর বুথে মদন মিত্র বুথ দখল করতে চাইছেন। যদিও তাঁর এইদাবি উড়িয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
এদিন আবার ভবানীপুরে জয় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভবানীপুরে সব ধর্মের মানুষ আছেন, বাঙালি থেকে শুরু করে মুসলিম, মাড়ওয়ারি, পাঞ্জাবি সকলেই। প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। এর আগে নির্বাচনে তিনি কয়েকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এবার ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে কোনও ওয়ার্ডে হারায়নি বলে জানান মমতা। এ জন্য তিনি ভীষণ কৃতজ্ঞ বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। আজ গোটা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারা আজ তাঁকে প্রেরণা দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানান মমতা।