‘পাতা’ খাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা, দেখলে রবীন্দ্রনাথ সুইসাইড করতেন! বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে অনুব্রত

‘পাতা’ খাচ্ছে ছেলে-মেয়েরা, দেখলে রবীন্দ্রনাথ সুইসাইড করতেন! বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে অনুব্রত

বোলপুর: বিগত কয়েক মাসে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়িকে নিয়ে বিতর্ক, আবার সম্প্রতি উদ্ভট মেধাতালিকা প্রকাশ, সবকিছু নিয়েই সংবাদ শিরোনামে ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে আবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে বারংবার আক্রমণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। এবার তিনি আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন। বললেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে এখন হয়তো সুইসাইড করতেন, কারণ বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা ‘পাতা’ খাচ্ছে।

আজ বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই তিনি মন্তব্য করেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তিনি একাধিক অভিযোগ পাচ্ছেন এবং জানতে পেরেছেন সেখানকার পড়ুয়ারা নাকি প্রচুর নেশা করছে, ‘পাতা’ খাচ্ছে! ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নাকি এখন প্রচুর নেশা করছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর মন্তব্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি এখন বেঁচে থাকতেন তাহলে হয়তো সুইসাইড করে ফেলতেন এই সব দেখে। এর আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন অনুব্রত। এমনকি তাঁকে ঘেরাও করে রাখার নিদান পর্যন্ত দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে পড়ুয়াদের তাঁর দল সমর্থন করবে। সেই নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। এবার তিনি যা মন্তব্য করলেন তার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ মহলের কী প্রতিক্রিয়া হয় এখন সেটাই দেখার।

তবে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি দাবি করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি মেডিকেল কলেজ চেয়েছিলেন এবং সেটা তিনি পেয়েছেন। এই কারণে তিনি প্রচণ্ড খুশি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে অনুব্রত একটাই আক্ষেপ যে তিনি নিজের মেয়েকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করতে পারেননি। সেই ইস্যুতেও দুঃখ প্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *