কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবার দাবি করেছেন যে রাজ্য সরকারের টাকার ঘাটতি রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি এবং জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে অনেক টাকা পায় যেগুলো দেওয়া হয়নি। যদিও এই আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও অনুদান থেকে এবারে বঞ্চিত হচ্ছে না রাজ্যের পুজো কমিটি গুলি। এবারেও এই অনুদানের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও টাকা দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না কোন রাজনৈতিক নেতা। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ, জানানো হয়েছে এমনটাই।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই বছর রাজ্যের পুজো কমিটি গুলিকে যে অনুদান দেওয়া হবে তার জন্য ২০১ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের মোট ৪০ হাজার ৩৮২ টি ক্লাব এবং দুর্গা পুজো কমিটির হাতে এই অনুদান তুলে দেওয়া হবে। রাজ্যের পুলিশ গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং অনুদান তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না কোনো রাজনৈতিক নেতা বা মন্ত্রী, এমনটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য নিয়ম বিধি মেনেই এই অনুষ্ঠান করতে হবে পুলিশকে। তথ্য অনুযায়ী, ৩ হাজার পুজো কমিটি এবং ক্লাব পড়ছে কলকাতা পুলিশের আওতায় এবং ৩৭ হাজারের কিছু বেশি ক্লাব এবং পুজো কমিটি পড়ছে রাজ্য পুলিশের আওতায়। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশ মোট ১৮৬ কোটি টাকা বিতরণ করবে এবং কলকাতা পুলিশ বিতরণ করবে ১৫ কোটি টাকা। প্রশাসনের তরফে অ্যাকাউন্ট পে চেক দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দল অর্থাৎ বিজেপি শিবির থেকে প্রথম থেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। যদিও তাদের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি শাসক শিবির। আসলে বারংবার ধর্মের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ব্রিগেড। নির্বাচনের সময়ও এই ইস্যুতে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে একাধিক বিজেপি নেতাকে। তবে রাজ্য সরকার প্রথম থেকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতেই তারা অনড় এবং সেই প্রেক্ষিতেই অনুদান দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।