কলকাতা: উত্তরপ্রদেশে লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তাল দেশ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট দুই কৃষকদের মৃত্যু ঘরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ এদিকে লখিমপুরে পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদদের একটি দল৷ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে এখান থেকে গণতন্ত্র উধাও হয়ে গিয়েছে৷ এখানে স্বৈরাচার চালাচ্ছে বিজেপি সরকার৷ যাঁকে ইচ্ছে গাড়ি গিয়ে পিষে দেওয়া হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- আর কোনও জটিলতা নেই, চলতি সপ্তাহেই শপথ নিচ্ছেন মমতা
এ প্রসঙ্গ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবাংলায় এই ধরনের ঘটনা হলে এখানেও ১৪৪ ধারা জারি হয়৷ আমাকেও অনেকবার আটাকানো হয়েছে৷ বসিরহাটে কার্তিক ঘোষ নামে একজন মারা গিয়েছিলেন৷ উনি আমাদের দলের লোক ছিলেন৷ ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রূপা দি, লকেট সহ অন্যান্য নেতারা৷ কিন্তু আমাদের কলকাতাতেই আটকে দেওয়া হয়৷ তখন গণতন্ত্র কোথায় থাকে?’’
তিনি আরও বলেন, প‘রবর্তী ক্ষেত্রে যাতে আর কোনও অসুবিধা তৈরি না হয় সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ১৪৪ করা হয়ে থাকে৷ এটাই পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব৷ কেউ গেলে যদি উত্তেজনা তৈরি হয় তাহলে তাঁদের আটকানো উচিত৷ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঠিক সেই কাজটাই করেছে৷ এখানে তো আমাদের বাড়ি থেকেই বেরতেই দেওয়া হয় না৷ এখানে রাস্তায় বেরলে নয় সুয়োমোটো মমলা হবে, নাহলে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে৷ যাঁরা এখানে এই কাজ করে তাঁরা উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কী ভাবে এমন দাবি করছেন৷ উত্তরপ্রদেশে একটা দায়িত্বশীল সরকার রয়েছে৷ সেখানে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটা সামালানোর ক্ষমতাও রাখে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷
আরও পড়ুন- সঙ্কটের মাঝেও মোটা টাকা অনুদান পুজো কমিটিগুলিকে, বিশেষ নির্দেশ নবান্নের
এ প্রসঙ্গে কিরেণ রিজিজু বলেন, উত্তরপ্রদেশে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তদন্ত করা হবে না কমিন বসানো হবে, সেটা পুলিশ প্রশাসন ঠিক করবে৷ কিন্তু বাংলায় তৃণমূল ও সরকারের লোকেরাই সন্ত্রাসে উস্কানি দেয়৷