কলকাতা: মুকুল রায় এবং বাবুল সুপ্রিয়, এই দুই বড় নাম ছাড়াও একাধিক বিধায়ক বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছে। একুশের বঙ্গ নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে চিত্র ধরা পড়েছিল, এখন সেই এক চিত্র বিজেপি শিবিরের বাস্তব। একে একে দল ছাড়তে শুরু করেছেন একাধিক নেতা এবং বিধায়ক। সকলের মধ্যে এবার সবথেকে বেশি গুঞ্জন শুরু হয়েছে সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, সব্যসাচীর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসা আর হয়তো সময়ের অপেক্ষা! যদিও দলের তরফ থেকে এখনো কোনো রকম প্রতিক্রিয়া এই ব্যাপারে দেওয়া হয়নি।
২০১৯ সালের পুজোর আগে দলবদল করেছিলেন সব্যসাচী দত্ত এবং তার অনেক আগে থেকেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক বেসুরো মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। মুকুল রায়ের হাত ধরে তিনি বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু এখন সেই মুকুলই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মোহ ভঙ্গ হয় সব্যসাচীর যা মোটামুটি এখন সবারই জানা। একুশের নির্বাচনে একাধিক দায়িত্বে থাকলেও খুব একটা তৎপর হতে দেখা যায়নি তাঁকে। এখনো তিনি বড় দায়িত্বে রয়েছেন কারণ খড়দহ উপনির্বাচনে বিজেপির ইনচার্জ সব্যসাচী। তবে অনুমান, বিজেপির হয়ে কাজ করায় তাঁর আর কোনো ইচ্ছা নেই। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি যোগাযোগ রাখছেন ঘাসফুল শিবিরের একাধিক নেতাদের সঙ্গে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম সবুজ সংকেত মেলেনি।
সব্যসাচীর পুরনো দলে ফেরার পথের কাঁটা সুজিত বসু এবং তাপস চট্টোপাধ্যায়। কারণ দল ছাড়ার আগে এই দু’জনের সঙ্গে ভালো রকম দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সব্যসাচীর। তাই মনে করা হচ্ছে, এই দু’জনের কারণেই তিনি আপাতত পুরনো দলে ফিরতে পারছেন না। সব্যসাচী দত্তের প্রত্যাবর্তন নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি বদলায় কিনা তার অপেক্ষা আপাতত করতেই হচ্ছে।