খড়গপুর: ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ভাঙন ধরেছে গেরুয়া শিবিরে৷ একের পর এক নেতা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরে৷ এরই মধ্যে প্রকাশ্যে দিলীপ ঘোষ ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঠাণ্ডা লড়াই৷ তাঁরা একে অপরের মুখে দেখাদেখি বন্ধ করেছেন বলেও জানা যায়৷ সম্প্রতি রেলের ফুটব্রিজ উদ্বোধনে উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ কিন্তু সেখানে যাননি বিধায়ক হিরণ৷ পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে ওঠে যে, হিরণ তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বলেও জল্পনা শুরু হয়ে যায়৷ সেই প্রেক্ষিতেই এবার একমঞ্চে দেখা গেল দিলীপ ঘোষ ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে৷
আরও পড়ুন- বাঙ্গুরে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
খড়গপুরেই ফের মুখোমুখি হলেন দুই নেতা৷ সেখানে রামমন্দিরে বিদ্বজ্জনেদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিজেপি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবীরা৷ বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সেই মঞ্চেই সকলকে অবাক করে হাজির হন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এক মঞ্চে দুই নেতাকে পাশাপাশি দেখে রেলশহরের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, তাহলে কী সমস্যা মিটে গিয়েছে?
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বোগদায় দ্বিতীয় ফুটব্রিজ-সহ রেলের কাজ নিয়ে ডিআরএম-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ কিন্তু তার কয়েক দিন রেলের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হিরণ৷ ওই ফুটব্রিজ সংলগ্ন টিকিটঘর নির্মাণেই নিযুক্ত শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে ডিআরএম-এর কাছে জবাব চেয়েছিলেন তিনি৷ এর পরেই দিলীপ ঘোষ ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে৷ এর পর দিলীপ ঘোষকে রেলের ফুটব্রিজ উদ্বোধনে দেখা গেলেও অনুপস্থিত ছিলেন হিরণ৷
সূত্রের খবর, বিধায়ক শিবিরে যাতে আর ভাঙন না ধরে তার জন্য ময়দানে নামেন সুকান্ত মজুমদার৷ দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ ওই বৈঠকে অবশ্য হিরণ উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন সুকান্ত৷ ঐক্যবদ্ধ ভাবমূর্তি তুলে ধরার বার্তা দেন তিনি৷ সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন রাজ্য সভাপতি। তারপরেই কাটে দিলীপ–হিরণ সম্পর্কের জট।