ত্রিপুরার বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিজন ধর প্রয়াত, আজই দেহ পৌঁছবে আগরতলায়

ত্রিপুরার বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিজন ধর প্রয়াত, আজই দেহ পৌঁছবে আগরতলায়

c1dd143b3832cc503f9c289a838ac484

 

কলকাতা: ত্রিপুরা বামফ্রন্টের অন্যতম ‘মুখ’ – বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিজন ধর প্রয়াত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৪টে ৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ত্রিপুরায় বাম আন্দোলনের অন্যতম নাম ছিলেন বিজন ধর।

বিজন ধরের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এছাড়াও পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই তার দেহ আগরতলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম নেতৃত্ব। 

ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক বিজন ধরের জীবনাবসানে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। প্রয়াত শ্রী ধরের মরদেহ এখন ইএম বাইপাসে ফর্টিস হাসপাতাল থেকে দমদম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিকাল পাঁচটার ফ্লাইটে আগরতলা নিয়ে যাওয়া হবে।  দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যায় ভুগছিলেন এই প্রবীণ বাম নেতা। তবে এটি বলা যায়, মাস খানেকের মধ্যে গৌতম দাস ও বিজন ধরের মৃত্যু বিরাট ধাক্কা ত্রিপুরা সিপিএমের কাছে। বিজন ধরের চিকিৎসার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ও কলকাতা জেলা কমিটির সদস্যরা। এদিন হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন বিমান বসু, সূর্য মিশ্র, রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী সহ পশ্চিমবঙ্গের বাম নেতৃবৃন্দ।

এদিকে ত্রিপুরায় বামকর্মীরা প্রবল ভেঙে পড়েছেন। উৎসবের মরসুমে তাদের ‘বিজন দা’ নেই। মাস খানেক আগেই কলকাতার হাসপাতালে মারা যান সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস। গৌতমবাবুর আগে বিজন ধরই ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্য কমিটির সম্পাদক। দুই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যু – বাংলা ও ত্রিপুরার বাম কর্মীদের মনে আঘাত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *