কলকাতা: ওপরে না ও-পাড়ে! গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া নয়, মৃসন পিচ ঢালা রাস্তাকে আকাশ ভেবে উড়ে যাওয়ার চেষ্টা! পুজোর রাতে এমনই ভয়ঙ্কর বাইক চালকদের দেখে ভয়ে শিউড়ে উঠলেন ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তারাও৷ সপ্তমী রাতে রাতভর নাকা চেকিংয়ের জেরে এমনই ২১ জন ‘ঘোষ্ট রাইডার’কে গ্রেফতার করল বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রের খবর: রাতের আঁধারে বিদ্যুতগতিতে মসৃণ পিচঢালা বাইপাস রাস্তায় সাইলেন্সর পাইপে গগনবিদারী আওয়াজ তুলে মোটরবাইক চেপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ‘ঘোষ্ট রাইডার’রা৷ রাজপথে ছিল পুলিশও৷ জীবন বাজি রেখে মরণ খেলায় মেতে ওঠে ওই ভূতুড়ে চালকের ‘চেস’ করে পাকড়াও করে পুলিশ৷ সপ্তমীর রাতে ঘটনাটি ঘটেঠে কলকাতার সার্দান অ্যাভিনিউ এলাকায়৷
পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘যেভাবে বাইক ছোটাচ্ছিল তাতে প্রতিপদে ওদের নিজের তো প্রাণের ঝুঁকি তো ছিলই একই সঙ্গে পথচলতি মানুষ থেকে গাড়ি প্রত্যেকেরই ঝুঁকি ছিল৷’’ ওই কর্তর আক্ষেপ, ‘‘ধরা পড়ার পরও এই তরুণদের কোনও অনুশোচনা নেই৷ এমনকি তাঁদের পরিবারের লোকেদের কাণ্ডজ্ঞান দেখেও আমরা চমকে উঠছি৷ কারণ, বেশ করেছেন গ্রেফতার করেছেন৷ এমন কথার পরিবর্তে শুনতে হচ্ছে আকুতি, এবারের মতো ছেড়ে দিন, কথা দিচ্ছি ও আর এরকম কক্ষনো করবে না!’’ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, অভিভাবকরাই যদি এবিষয়ে সচেতন না হন, তাহলে এই ভূতুড়ে চালকদের কি শুধু আইন দিয়ে শুধরানো সম্ভব হবে?