কলকাতা: একদিকে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস৷ অন্যদিকে কলকাতার পুজোমণ্ডপে ভিড়৷ মূলত শ্রীভূমির ‘বুর্জ খলিফা’ দেখার ভিড়ের কারণে মাথায় হাত অবস্থা হয়েছিল চিকিৎসক মহলের। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছিল সংক্রমণের। তাই নবমী থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে ‘বুর্জ খলিফা’র দুয়ার! করোনা আবহে মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ৷ মণ্ডপে স্থানীয়দের প্রবেশে অনুমতি থাকলেও ‘বহিরাগত’দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘লেজার শো’৷ এবার ভিড় নিয়ন্ত্রণে রেলও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিধাননগর স্টেশনে শিয়ালদহগামী ট্রেন আর দাঁড়াবে না।
আসলে এই ক্লাবের পুজো দেখার জন্য প্রথম থেকেই ভিড় বাড়ছিল উল্টোডাঙ্গা এলাকায়। বিধাননগর স্টেশনে প্রচুর যাত্রীদের সমাগম দেখা গিয়েছিল। মানুষের ভিড় এত বাড়ছিল যে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে প্রভাব পড়ছিল। প্রচুর জন সমাগমে সংক্রমণের ভয় আরও মারাত্মকভাবে বাড়ছিল। তাই পূর্ব রেল বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকেই বিধাননগরে আর শিয়ালদহগামী ট্রেন দাঁড়াবে না। উল্লেখ্য, ‘বুর্জ খলিফা’ দর্শনে বেলাগাম ভিড় নিয়ন্ত্রণে বুধবার রাত থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় শ্রীভূমির পুজোয় প্রবেশ পথ৷ দর্শকদের সরিয়ে দেওয়া হয়৷
দুবাইয়ের উচ্চতম বাড়ি ‘বুর্জ খলিফা’র আদলে এবার শ্রীভূমি তৈরি করেছে ১৪০ ফুট উঁচু মণ্ডপ৷ যা দেখতে মহালায়া থেকেই প্রচণ্ড ভিড় দেখা গিয়েছিল৷ করোনা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে মণ্ডপ ভিড় দেখে চমকে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ এই নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক৷ লেজার আলোয় দমদম বিমানবন্দরে বিমান চলাচলে সমস্যা তৈরি হওয়ায় জানানো হয় আপত্তি৷ আর তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় লেজার আলোর প্রদর্শন৷