বিয়ের অনুষ্ঠানে সিংহের সঙ্গে ছবি তুলে ভাইরাল দম্পতি

বিয়ের অনুষ্ঠানে সিংহের সঙ্গে ছবি তুলে ভাইরাল দম্পতি

 
লাহোর: বিয়ের অনুষ্ঠানে চমক দেওয়ার পালা বেড়েই চলেছে৷ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পালটাচ্ছে সব রীতিনীতি৷ পরিবার-পরিজন থেকে পাত্র-পাত্রী, সকলেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ইউনিক সব ভাবনা এনে চমকে দিতে চাইছেন৷ কিন্তু বিয়েতে ফোটোশুটের জন্য প্রাণীদের ব্যবহার করা হবে! এমন আজব ঘটনা ঘটালেন লাহোরের এক দম্পতি। বিয়েতে ফোটোশুট করবেন বলে ভাড়া করে এনেছিলেন এক ছোট্ট সিংহশাবক। ছানাটিকে মাদক খাইয়ে আচ্ছন্ন করে মাঝখানে বসিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁরা।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল হতেই সেই ছবি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পশুপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। সিংহের ছানাটি কোথা থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছে, তা জানতে তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন অনেকে। পাকিস্তানের অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ‘সেভ দ্য ওয়াইল্ড’ থেকে ইতিমধ্যেই টুইটারে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান হয়েছে। ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে তারা লিখেছে, ‘পাঞ্জাব ওয়াইল্ড লাইফ, আপনারা অনুষ্ঠানে ফোটোশুটের জন্য প্রাণীদের এভাবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন? দেখুন কীভাবে বাচ্চাটা নুয়ে পড়েছে। লাহোরের একটা স্টুডিওয় সিংহশাবটিকে আপাতত রাখা হয়েছে। দয়া করে ওকে বাঁচান।’ সেই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় গোটা ওয়েব দুনিয়ায়। প্রাণীদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন সকলেই।

যদিও স্টুডিওর ম্যানেজমেন্টের তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই সিংহশাবকটি ওই দম্পতির এক বন্ধু কিনেছেন৷ তাঁরা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ব্যাখ্যা দিয়েচেন, লাইসেন্স থাকলে পাকিস্তানে বন্যপ্রাণী রাখা বেআইনি নয়৷ তাঁরা লিখেছেন, ‘কারও যদি বন্য প্রাণী রাখার লাইসেন্স থাকে, তাহলে কিভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন৷ পাকিস্তানে একবার কেউ লাইসেন্স পেয় গেলে, তারপর তারা সেই প্রাণীকে দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতেই পারেন৷’ অনেকেই বলছেন, সিংহের ছানাটিকে মায়ের থেকে আলাদা করে, প্রথমে চুরি এবং পরে বিক্রি, তারপর তাকে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ফোটোশুটের জন্য ব্যবহার করা-এটাই কি আমাদের সমাজের সুস্বাস্থ্যের নতুন চেহারা?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 5 =