কাঁথি: জাতীয় ফুলে মোড়া পুস্প স্তবক৷ সংবর্ধনা হিসেবে সেটি নেওয়ার জেরে নবমীর রাত থেকেই রাজনৈতিক বিড়ম্বনার মুখোমুখি কাঁথির তৃণমূল নেতা তথা কাঁথি পুরসভার পুর প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী৷
ঘটনার সূত্রপাত, নবমীর রাতে কাঁথি নান্দনিক ক্লাবের সংবর্ধনার অনুষ্ঠান ছিল৷ দীর্ঘদিন ধরে অধিকারীদের ক্লাব হিসেবে পরিচিত এই পুজো মণ্ডপে নবমীর সন্ধ্যায় কাঁথির পুরসভা প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীকে পদ্ম ফুলের স্তবক দিয়ে সংবর্ধিত করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেই ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বরা।
পুজো মণ্ডপে হরিসাধন অধিকারী যাওয়ার প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। পুজো মণ্ডপে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন অধিকারী যাওয়া প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকরাও। কারণ, কাঁথি নান্দনিক ক্লাবের পুজো কমিটি সভাপতি হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রকাশ বলেন, ‘‘হরিসাধন দাস অধিকারীকে দলের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ভাবতাম৷ কিন্তু যে পুজো প্যাণ্ডেলে নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকবে, আর সেই পুজো প্যাণ্ডেলে গিয়ে সংবর্ধনা নেবেন আমাদের দলের নেতা, এটা কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। দলগতভাবে আমরা এই বিষয়টাকে সমর্থন করিনা৷’’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। নান্দনিক ক্লাব পুজো প্যাণ্ডেলের বাইরে শুভেন্দু অধিকারী একাধিক ছবি রয়েছে। মহাঅষ্টমীর সকালে নান্দনিক ক্লাবের পুজো প্যাণ্ডেলে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই নবমী সন্ধ্যায় সেখানে সংবর্ধনা নিতে যান কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারী৷ ক্লাব কর্তৃপক্ষ কাঁথির পুরসভা প্রশাসককে স্মারক তুলে দেন। কয়েকটি পদ্মফুল দিয়ে তৈরি ফুলের স্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আর সেই ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয়েছে বিড়ম্বনা৷ যদিও এবিষয়ে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হরিসাধন দাস অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷