মন্ত্রী-পুত্র ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, চাঞ্চল্য বিধাননগরে

মন্ত্রী-পুত্র ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, চাঞ্চল্য বিধাননগরে

কলকাতা: দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পুত্র সমুদ্র বসু এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের। লিখিত অভিযোগ করলেন সল্টলেক সিই ব্লকের বাসিন্দা উদয়ন সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে সল্টলেক সি ই ব্লকের পুজো মণ্ডপ সহ বিভিন্ন জায়গায় শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে হোডিং দিয়েছিলেন উদয়ন সরকার। অভিযোগ সেই হোডিং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং তাঁর পুত্র সমুদ্র সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সল্টলেকের সিই ব্লকের বাসিন্দা উদয়ন সরকার বলেন, সুনিদিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই মন্ত্রী পুত্র ও তার দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও এবিষয়ে মন্ত্রী বা মন্ত্রী পুত্রের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অন্যদিকে ষষ্ঠীর রাতে আপ ক্যাব ভাড়া করে সেই গাড়ি ছিনতাই। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্যাব চালককে আঘাত করে চালককে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের। ঘটনাটি সল্টলেকের এডি ব্লকের। এই ঘটনায় গ্রেফতার এক মহিলা ও এক ব্যক্তি। গ্রেফতার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ষষ্ঠীর গভীর রাতে দমদম এলাকা থেকে এক মহিলা ও এক পুরুষ একটি আপ ক্যাব ভাড়া করে এবং ক্যাব চালককে বলে তারা উল্টোডাঙ্গায় যাবে। উল্টোডাঙা যাওয়ার পর তারা বলে সল্টলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপরে যখন ক্যাব চালক এডি ব্লকে ৩৪৪ নম্বর বাড়ির কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় আসে সেখানে গাড়িটি দাঁড় করাতে বলে। গাড়ির পিছনের সিটে বসে থাকা মহিলা একটি ধারালো অস্ত্র বের করে ক্যাব চালকের গলায় ধরে তার কাছে যা আছে সব দিতে বলে। এরপর চালকের কপালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে গাড়ি থেকে চালককে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় ওই ব্যক্তি ও মহিলা। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ জানান ওই গাড়ির চালক।

অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল ডানলপ থেকে বান্টি রঞ্জিত ওরফে বাবু ও কাজল রাম ওরফে মিতালি এই দুজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। আজ ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ছিনতাই হয়ে যাওয়া গাড়ি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *