বাঁকুড়া: দীর্ঘ ধারাবাহিকতা মেনে এবারও বিজয়া দশমীতে জয়পুরের বৈতল গ্রামে ঝগড়ভঞ্জনী দুর্গা মন্দিরের সামনে ‘কাদা খেলা’ অনুষ্ঠিত হল। এলাকার আট থেকে আশি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিলেন ব্যতিক্রমী এই আনন্দোৎসবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার সাতটি পুকুরের জল দিয়ে মন্দিরের সামনে পুকুর তৈরি করা হয়। তারপর বিজয়া দশমীর সকাল থেকে চলে ‘কাদা খেলা’। এলাকায় প্রচলিত জনশ্রুতিটি হল, বিষ্ণুপুরের রাজপরিবারের একটা অংশ বর্ধমানের রাজা কিনে নিয়েছেন। এই নিয়ে মামলা চলছে। বিষ্ণুপুর রাজা দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহ যাচ্ছেন বর্ধমান। তাঁর যাওয়ার পথেই ঝগড়াই চণ্ডীর মন্দির। রাজা মন্দিরে প্রণাম সেরে বেরিয়ে দেখেন সামনের বিশাল বটের নীচে একটি ছোট্ট মেয়ে একা কাদামাটি নিয়ে খেলা করছে। তার সারা গায়ে কাদাজল।
স্থানীয় বাসিন্দা নবকুমার রুইদাস, মিঠু কর্মকার, শিল্পা দাসরা বলেন, পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে এই রীতি চলে আসছে। এই কাদা খেলার সঙ্গে এলাকার একটা ঐতিহ্যও জড়িয়ে আছে। তাই এই আয়োজন। প্রসঙ্গত, ফি বারের মতো এবারও কাদা খেলা দেখতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।