পুজোয় অস্ত্র ব্যবহার করে বিতর্কের মুখে বিজেপি সাংসদ

পুজোয় অস্ত্র ব্যবহার করে বিতর্কের মুখে বিজেপি সাংসদ

 

রানাঘাট: উপ নির্বাচনের আগে পুজোয় নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার করে আবারও বিতর্কের মুখে নদীয়া রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। নিজের বাড়িতেই দুর্গাপূজায় তিনি সামরিক বাহিনীর অস্ত্র দিয়ে পুজো করেন বলে অভিযোগ। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই শুরু বিতর্কের৷

এভাবে সরকারি অস্ত্র ব্যবহার কতটা আইন সাপেক্ষ, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এবিষয়ে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের তৃণমূল নেতাকর্মীরা হিন্দু শাস্ত্র ভুলে গেছেন। হিন্দু শাস্ত্রে লেখা রয়েছে, অস্ত্র পুজো করা হয়। তৃণমূলকে বলব, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবথেকে বিক্রি বেশি হয় পঞ্জিকা বই৷ সেই বইয়ে স্পষ্ট লেখা রয়েছে অজস্র পূজার কথা। অস্ত্র পুজোর দিন আমি সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার করেছি। সেটা পুরোটাই বৈধ কারণ৷ ওই অস্ত্র যথেষ্ট নিরাপত্তার’ মধ্যেই ছিল। তাই তৃণমূল চাইলে আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক।’’

এবিষয়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জয়ন্ত সাহা বলেন, অবিলম্বে যত দ্রুত সম্ভব সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে গ্রেফতার করা হোক। তার কারণ উপ নির্বাচনের আগে সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলার চেষ্টা করেছেন বিজেপি সাংসদ। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং নির্বাচনের আগে কিছুতেই যেন মানুষকে প্রভাবিত না করতে পারে সেই কারণেই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সাংসদের বিরুদ্ধে।

তৃণমূলের নবদ্বীপ পৌরসভা প্রশাসক বিমান কৃষ্ণ সাহা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এই ঘটনার। তিনি বলেন, অস্ত্র পুজো করে কখনোই মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্ত্র ছাড়াই দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে মানুষের মন জয় করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =