ভাড়া না পেয়ে দলীয় দফতরেই তালা ঝোলালেন বনগাঁর BJP বিধায়ক!

ভাড়া না পেয়ে দলীয় দফতরেই তালা ঝোলালেন বনগাঁর BJP বিধায়ক!

50f6503a91d84166fabf971e8bce219d

 

বনগাঁ:  মেলেনি ভাড়া৷ তাই দলীয় দফতরে তালা ঝোলালেন দলেরই বিধায়ক৷ বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল স্থানীয় গেরুয়া শিবিরের একাংশ৷ যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিধায়ক। অন্যদিকে, এই ঘটনার পিছনে বিজেপি’র গোষ্ঠী কোন্দল দেখছে তৃণমূল৷ 

আরও পড়ুন- ফেলে দেওয়া থার্মোকল দিয়ে লক্ষ্মী ঠাকুর পুজোর উপকরণ তৈরি করছেন গৃহবধূ

উত্তর ২৪ পরগনায় বিজেপি’র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দলীয় দফতরটি রয়েছে গান্ধী পল্লিতে। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার বাড়িরই সামনের দিকের ঘর ভাড়া নিয়ে দলীয় দফতরটি করা হয়৷ দলের জেলা দফতরের সম্পাদক সুবীর সেনের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের ওই ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়৷ তিনি জানান, দফতরে তালা ঝুলতে দেখে বিধায়কের কাছে চাবি চাইতে যান তিনি। সেই সময় বিধায়ক তাঁকে চাবি দিতে অস্বীকার করেন৷

সুবীর বলেন, ‘‘আজ দলীয় দফতরে গিয়ে দেখি তালা ঝুলছে। চাবি না পেয়ে চাবির খোঁজ করতে যাই৷ তখনই আমাকে বলা হয়, ভাড়া বাকি রয়েছে। দফতরে তালা লাগিয়েছেন বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার ভাই সুজিত কীর্তনিয়া। ওঁরা দু’জনেই এর সঙ্গে জড়িত৷ এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরাই ওঁকে নির্বাচিত করে বিধায়ক করেছি। আর ওই এমন করল৷’’

আরও পড়ুন- কলকাতার বুক থেকে ট্রামকে চির বিদায় দেওয়ার প্রস্তাব পুলিশের

যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অশোক কীর্তনিয়া৷ তিনি বলেন, ‘‘কে বা কারা অফিসে তালা দিয়েছে আমার জানা নেই। এটা আমার বাড়ি৷ আমিই ভাড়া দিয়েছি। ভাড়াও পাচ্ছি। কে বা কারা কার ইন্ধনে এই ধরনের কথা বলছেন জানা নেই৷ আমার সঙ্গে কারও কোনও রকম কথা হয়নি। আমি তালাও দিইনি। সবটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’ অন্যদিকে এই ঘটনা বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল বলেই দাবি করেছেন বনগাঁর তৃণমূল নেতা দিলীপ দাস৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *