পটাশপুর: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা এক যুবতীকে সহবাস করার অভিযোগ উঠল গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর বিধানসভা এলাকায়। পটাশপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ বেরা। তার বাড়ি পটাশপুর থানার গোনাড়া গ্রামে। সোমবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ বেরা। যুবতী আগে বিবাহ হলেও স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর বাপের বাড়ি গোনাড়াতে থাকতে শুরু করে ওই যুবতী। যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় গ্রামের যুবক বিশ্বজিৎ বেরা। অভিযোগ, এরপর বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে গিয়ে একাধিকবার সহবাস করে ও আপত্তিকর অবস্থায় ছবি ক্যামেরাবন্দি করে ওই যুবক৷ দীর্ঘ কয়েক মাস পর বিশ্বজিৎ বেরাকে বিয়ের কথা বলেন যুবতী।
অভিযোগ, তখন পুরো ঘটনাটি এড়িয়ে যায় ওই যুবক৷ এরপর ওই যুবতীকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিশ্বজিৎ৷ তাতে সমর্থন জোগায় তার পরিবারের সদস্যরা। এরপরই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, প্রতারণার অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর পটাশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী৷ গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বেরা বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ ও ৪১৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী ওই যুবতী বলেন, “অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই, যাতে ও আর কোনও মেয়ের সর্বনাশ না করতে পারে৷”