ওপার বাংলা অশান্তি, কী বললেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা?

ওপার বাংলা অশান্তি, কী বললেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা?

কলকাতা:  পুজোর উৎসবের মাঝেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ৷ একের পর এক মণ্ডপে ভাঙচুর৷ ঘরবাড়ি, দোকানে হামলা৷ নিন্দার ঝড় উঠেছে দুই বাংলায়৷ নিন্দা করেছে আমেরিকা৷ এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে বাংলার বিদ্বজ্জনেদের আর্জি, অশান্তি রুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে৷ নিশ্চিত করতে হবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা৷ অশান্তির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ওপার বাংলার বিশিষ্ট অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, জয়া আহসান সহ বাংলাদেশে শিল্পীদের একাংশও৷ 

আরও পড়ুন- ফের লোকসভা ভোটে লড়বেন বাবুল! টুইটে জল্পনা উস্কালেন প্রাক্তন সাংসদ

এপার বাংলায় যখন উৎসবের আনন্দ, তখন ওপার বাংলায় বিষাদের সুর৷ চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা, রংপুর থেকে ফেনী দফায় দফায় অশান্তি৷ ঘারবাড়ি, দোকানে ভাঙচুর৷ বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন এপার বাংলার বিশিষ্টজনেরা৷ আবার ইস্কন কর্তৃপক্ষ মনে করছে বাংলাদেশে অশান্তির প্রতিবাদে বিদ্বজ্জনদের প্রতিবাদের এই সুর আরও চড়া হওয়া প্রয়োজন৷ তাঁদের বক্তব্য, ‘বিদ্বজ্জনদের আরও বেশি করে প্রতিবাদ করতে হবে৷ ওদের একটু লজ্জা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে৷ প্রতিবাদ না করলে সাহস আরও বাড়বে৷’ এদিকে বাংলাদেশের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার আর্জি জানিয়েছেন এপার বাংলার লেখক, শিল্পী সহ বিশিষ্টজনেরা৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের আর্জিও জানানো হয়েছে৷ 

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কোনও না কোনও অশান্তির খবর আমরা শুনি৷ যেটা কখনই ভালো লাগে না৷ এ বছর মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ এটা বন্ধ হওয়া দরকার৷ যত বেশি ইসলামিক মৌলবাদ বাড়বে, ততই ভারতে গোঁড়া হিন্দুত্বের দাপাদাপিও বাড়বে৷ কারণ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল অতি দক্ষিণপন্থার দিকে ঝুঁকে৷ তাঁদের কোনও না কোনও অংশ সবসময় চেষ্টা করবেন এই বিষয়টাকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগাতে৷ 

আবার অভিনেতা কৌশিক সেন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের যে অধিকার সেটা যেন কোনও ভাবেই লঙ্ঘিত না হয়, তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷ এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন বাড়তি সুযোগ নিতে না পারে৷ 

অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের কথায়, মৌলবাদী শক্তি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আসলে একটি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়৷ বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, তারা যেন এই বিষয়ে নজর রাখে৷ আমাদেরও এদেশেও খুব সতর্ক থাকতে হবে৷ 

বাংলাদেশের ঘটনায় সরব হয়েছেন ওপার বাংলার বিশিষ্টজনেরাও৷ নিজের ফেসবুক পোস্টে রংপুরের থবি পোস্ট করে জয়া এহসান লিখেছেন, এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়৷ এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না৷ এই বিস্তৃত শ্মশান আমার দেশ না৷ এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 8 =